ভারতীয় দর্শন - ডাঃ দেবব্রত সেন, দর্শন বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'ভারতীয় দর্শন'
লেখক- ডাঃ দেবব্রত সেন
বইয়ের ধরন- গবেষণামুলক দর্শন বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৩১২
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২১এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় দর্শন পরম্পরায় এমন অনেকগুলো সম্প্রদায় আমরা পেয়েছি যারা তাদের চিন্তাধারার মাধ্যমে ভারতীয় বর্ধিত পরম্পরাকে সমৃদ্ধ করেছে। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় দর্শন হলো দার্শনিক চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহ্য গুলির এক মিলিত প্রকাশ, তাহার মধ্যে আছে হিন্দু দর্শন বৌদ্ধ দর্শন ও জৈন দর্শন। ভারতীয় দর্শন হচ্ছে বিশ্বের প্রাচীনতম দর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
যে সত্য বা তত্ত্ব সমগ্র বিশ্বে নিহিত, যার থেকে এই বিশ্বের চেতন-অচেতনের সকল কিছুই উদ্ভূত, ভারতীয় দার্শনিক সেই পরম সত্যকে দেখতে চান, উপলব্ধি করতে চান, জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে চান। ভারতীয় দর্শনে সত্যদর্শন বা সত্যকে জানাটাই লক্ষ্য নয়, সত্যকে জীবনে প্রতিষ্ঠা করাই হল আসল লক্ষ্য।
জীবনের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত জ্ঞানের কোন সমর্থন ভারতীয় দর্শনে নেই।
ভারতীয় দর্শন আধ্যাত্বিকতাবাদের দর্শন। একমাত্র চার্বাক দর্শন ছাড়া অপর সব দর্শন গভীরভাবে আধ্যাত্মিক। আধ্যাত্বিকতাবাদ জড়বাদের বিরোধী মতবাদ। জড়বাদ অনুসারে জড়বস্তুই পরমতত্ত্ব। আধ্যাত্মিকতাবাদ অনুসারে অজড় আত্মাই পরমতত্ত্ব। এই পরমতত্ত্ব আত্মাকে জীবনের উপলব্ধি করাই হলো পরম লক্ষ্য-ভারতীয় দার্শনিকরা যাকে 'মুক্তি' বলেছেন। 'মুক্তি' হল দুঃখমুক্তি। অবিদ্যাই জীবনে দুঃখের মূল কারণ। অবিদ্যা বিনাশে দুঃখমুক্তি। তত্ত্বজ্ঞানে অবিদ্যা নাশ হয় ও দুঃখ মুক্তি লাভ হয়। তত্ত্বজ্ঞান লাভ তাই ভারতীয় দর্শকদের কাছে কোন কৌতুহল নয়- মুক্তি লাভের জন্যই তত্ত্ব জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। আত্যন্তিক দুঃখমুক্তিই হল মানব জীবনের পরমপুরুষার্থ । ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ- এই চারটি মানুষের জীবনের কাম্য বস্তু বা পুরুষার্থ। ধর্ম, অর্থ, কাম মানুষের জীবনের কাম্য বস্তু হলেও জীবনের চরম ও পরম লক্ষ্য হলো মোক্ষলাভ। মোক্ষলাভ হলে মানুষের জীবনে আর কিছুই কামনা করার থাকে না। মোক্ষই হচ্ছে পরম প্রাপ্তি বা পরমপুরুষার্থ।
ভারতীয় দর্শনে বিবিধের মধ্যে মহান মিলন প্রতিফলিত হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন দর্শন সম্প্রদায় যেন একই দর্শন- পরিবারের সদস্য, যাদের মধ্যে অনৈক্য থাকলেও মিলও আছে। ভারতীয় কোন দর্শন সম্প্রদায়ের অপরাপর সম্প্রদায়ের অভিমতকে মর্যাদা না দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেনি। পারস্পরিক মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও এক সম্প্রদায়কে অপর সম্প্রদায়ের মতবাদ শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জানতে হয়েছে, কেননা, বিপক্ষীয়দের মতবাদ সম্পর্কে সুগভীর জ্ঞান না থাকলে তাকে খণ্ডন করা যায় না। পরমত খন্ডনের জন্যই শ্রদ্ধার সঙ্গে পরমত পাঠের প্রয়োজন হয় এবং স্বমত প্রতিষ্ঠার পূর্বে সর্বাগ্রে প্রয়োজন পরমত খন্ডন। অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা মনোভাব থেকেই ভারতীয় দর্শনে এক উদার ও ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে এবং দর্শন-আলোচনা পদ্ধতি এক বিশেষ খাতে প্রবাহিত হয়েছে।
এই পুস্তকটিতে যে ভারতীয় দর্শন পরম্পরাগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলি হল- চার্বাক দর্শন, বৌদ্ধ দর্শন, মীমাংসা দর্শন, অদ্বৈতবেদান্ত দর্শন, বিশিষ্টাদ্বৈতবেদান্ত দর্শন
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, দেবব্রত সেন-এর লেখা 'ভারতীয় দর্শন' বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করুন।
No comments:
Post a Comment