মহাভারত কাহিনী - স্বামী অমলানন্দ । বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'মহাভারত কাহিনী'
লেখক- স্বামী অমলানন্দ
বইয়ের ধরন- হিন্দু ধর্মমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৬৬
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ঋষিকবি বেদব্যাস এই বিরাট গ্রন্থে সকল একমের চরিত্রই সাফল্যের সঙ্গে এঁকেছেন। উচ্চতম ধর্মের আদর্শ থেকে অতি সাধারণ দৈনন্দিন জীবনের সকল সমস্যার আলোচনা ও সমাধান এই মহাকাব্যে বিশদভাবে করা হয়েছে। তাই মহাভারত আজও পুরোনো হয়নি।
কিন্তু এই বিরাট গ্রন্থ সবার পক্ষে পাঠ ও আয়ত্ত করা সহজসাধ্য নয় ; বিশেষতঃ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব বললেই চলে। এজন্য মূল মহাভারত অবলম্বনে সুকুমামতি বালক-বালিকা এবং সাধারণ পাঠকের উপযোগী সহজ ভাষায় স্বামী অমলানন্দ 'মহাভারত কাহিনী' রচনা করেছেন। আগে অবশ্য ইনি 'রামায়ণ কাহিনী’ও রচনা করেছেন এবং ওটি খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির, মহাবীর অজুন, পিতামহ ভীষ্ম, আচার্য দ্রোণ, পতিপ্ৰাণা ও ধর্মপ্রাণ রাণী গান্ধারী, দ্রৌপদী এবং পুন্যশ্লোক রাজর্ষিবৃন্দের অমূল্য জীবনকথা পাঠ করে বালক ও বালিকারা তৃপ্তিলাভ করুক এবং ভারতীয় সনাতন আদর্শে উদ্বুদ্ধ হোক— শ্রীশ্রীজগদম্বার চরণে এই প্রার্থনা।- প্রকাশক
‘যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে'—বাংলার ঘরে ঘরে এই প্রবাদ বাক্যটি সুপরিচিত। বলা বাহুল্য, প্রথম ভারত শব্দটির অর্থ মহাভারত। ভারতবর্ষের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সকল কথাই আছে মহাভারতে। ভারতের ভৌগোলিক আয়তন যেমন বিরাট, তার জীবনধারার মধ্যেও তেমনি বহু বৈচিত্র্য। মহাভারত সেই বৈচিত্র্যপূর্ণ ভারত-জীবনের পরিপূর্ণ অভিব্যক্তি। ঋষি কবি বেদব্যাস তাই বলেছেন:-
ধর্মে চার্থে চ কামে চ
মোক্ষে চ ভরতর্ষভ !
যদিহাস্তি তদন্যত্র
যন্নে হাস্তি ন কুত্রচিৎ।।
ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ জীবনের চতুর্বর্গ—আছে মহাভারতে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনচর্যা- থেকে আরম্ভ করে তার পরম মোক্ষলাভ পর্যন্ত সকল ভাবের সকল কথাই এই মহাকাব্য বলতে চেয়েছেন।
মহাভারত কি শুধু ধর্ম পুস্তক? আর ধর্ম বা মোক্ষ, সে ত আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু ধর্মের কথা, মোক্ষের কথা, বলতে গিয়ে মহাভারত আমাদের কাছে মানুষের যে জীবন আলেখ্য অঙ্কিত করেছেন তা সাধারণ মানুষের অপরিচিত বা দুরধিগম্য নয়—বরং একান্তভাবেই পরিচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সুখ ও দুঃখ, যে জয় ও পরাজয়, যে সান্ত্বনা ও বঞ্চনা, তার সবটাই সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে মহাভারতের পর্বে পর্বে। আজকের দিনের জীবন-যুদ্ধের সঙ্গে হয়ত সেদিনের জীবন-যুদ্ধের অনেক বৈসাদৃশ্য আছে এবং তা থাকা স্বাভাবিকও। তবু বলব সাদৃশ্য আছে অনেকখানি। তাই কয়েক হাজার বছরের ব্যবধান অতিক্রম করেও বিশ শতকের মানুষ এই মহাকাব্যের মধ্যে নিজ জীবনের বহু সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছে এবং অনুপ্রেরণা লাভ করছে জীবন পথে অগ্রসর হবার। মহাভারতের জনপ্রিয়তা শুধু আজ ভারতবর্ষেই নয় ভারতবর্ষের বাইরেও মহাভারতের পঠন-পাঠন ও আলোচনার কথা শুনতে পাই।
মহাকাব্য মহাভারতের প্রত্যেকটি চরিত্র মানবচরিত্রের এক একটি বৈচিত্র্যের বৈজয়ন্তী পতাকা। পরমপুরুষ শ্ৰীকৃষ্ণ, পিতামহ ভীষ্ম, ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির, ধনুর্ধর পার্থ, দানবীর কর্ণ, মাতা কুন্তী, গান্ধারী ও দ্রৌপদী প্রমুখ মহৎ চরিত্রগুলি যে কোন দেশের যে কোন কালের গৌরব। তারা সকলেই আমাদের প্রাতঃস্মরণীয়। আবার তাদের পাশেই রয়েছেন স্নেহান্ধ পিতা ধৃতরাষ্ট্র, অভিমানী দুর্যোধন, কুটিল শকুনি, কুর চরিত্র জয়দ্ৰথ, জরাসন্ধ ও কীচক।
ভালমন্দ, ছোট-বড়, বহু চরিত্রের সমন্বয়ে যে পূর্ণাঙ্গ জীবন সেই জীবনের ছবি এঁকেছেন মহাভারতের কুশলী মহাকবি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন—জীবনের শেষ পরিণতির দিকে, দেখিয়েছেন-জীবনকে মহাজীবনে পরিণত করার সুনির্দিষ্ট পথ। আর ঐসঙ্গে বলেছেন—পরম আশ্বাসের কথা—‘যতো ধর্ম স্ততো জয়। যা ভাল, যা সত্য, তা শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও জয়ী হবে।
ব্যাসদেব কৃত মূল মহাভারত অবলম্বনে ‘মহাভারত কাহিনী' রচিত হয়েছে। সর্বসাধারণের কাছে বিশেষ করে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ ভরসা যারা, সেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে মহাভারতের কাহিনীকে সহজবোধ্য করার জন্য গ্রন্থাকার চেষ্টা করেছেন এবং চেষ্টা করেছেন মহাভারতের মহান আদর্শকে সকলের কাছে তুলে ধরবার।
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত-এর সংক্ষিপ্ত রূপ 'মহাভারত কাহিনী - স্বামী অমলানন্দ' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন ।
No comments:
Post a Comment