নির্বাচিত প্রবন্ধ (শাশ্বত বঙ্গ)- কাজী আবদুল ওদুদ । বাংলা বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- নির্বাচিত প্রবন্ধ (শাশ্বত বঙ্গ)
লেখক- কাজী আবদুল ওদুদ
বইয়ের ধরন- প্রবন্ধ সংগ্র্রহ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৫৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪৪এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০) প্রথম জীবনে উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনার মধ্য দিয়ে সাহিত্য জীবনে প্রবেশ করলেও যুক্তিধর্মী প্রাবন্ধিক হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। 'শতবঙ্গ' (১৯৫১) তাঁর বিখ্যাত গদ্য রচনাগ্রন্থ। তাঁর জন্ম ফরিদপুর জেলার বাগমারা গ্রামে। তিনি ১৯১৩ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯১৫ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আই.এ ও ১৯১৭ সালে বিএ পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাস করেন ১৯১৯ সালে। ১৯২০ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে তিনি বাংলার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। দীর্ঘদিন অধ্যাপনার পর তিনি কলকাতায় বদলি হন এবং সেখানে শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টরের অধীনে টের বুকস কমিটির সম্পাদকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনকল্পে ১৯২৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ'। কাজী আবদুল ওদুদ ছিলেন মুসলিম সাহিত্য সমাজের অন্যতম স্তম্ভ ও নেতা। এই সংগঠনের পত্রিকা ‘শিখা'য় (১৯২৭) তাঁর মুক্তচিন্তা ও যুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন লেখার জন্যে ঢাকার নবাব পরিবার কর্তৃক নিগৃহীত হয়ে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করেন কলকাতায়। রাজা রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জার্মান কৰি গ্যেটেকে তাঁর জীবন চেতনার আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁদের জীবনদর্শন ও সাহিত্যকর্মের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, অনুশীলন ও অনুসরণ এবং সেই সঙ্গে বাংলার পশ্চাৎপদ। মুসলিম সমাজে মুক্তচিন্তা ও অসাম্প্রদায়িক ধ্যান-ধারণা জাগ্রত করার অভিপ্রায়ে সাহিত্যসাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর 'শ্বশতবস' গ্রন্থের বিন্নি রচনায় এসব চিন্তাচেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।
জীবনের প্রাথমিক পর্বে মুক্তচিন্তার অধিকারী কাজী আবদুল ওদুদের সাহিত্যিক আদর্শ ছিলেন গ্যেটে, যার কাব্যের ধ্রুপদী আদর্শ, গম্ভীর ভাবমূলক রচনাকৌশল, শুভবোধ, মনন ও বিশ্বাত্মচেতনা তাঁকে প্রগাঢ়রূপে আকৃষ্ট করেছিল। পরবর্তী সময়ে তার সাহিত্য-প্রেরণা ছিল রবীন্দ্র-কাব্যজগৎ। রবীন্দ্র-জীবনদর্শন তাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছিল। কবি গুরুর জীবন ছিল তার কাছে পরম আকর্ষণের বস্তু, রবীন্দ্র-কাব্য ছিল তাঁর প্রাণের শান্তি, মনের আরাম। তিনি গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন যে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দুই বাংলা এবং দুই বাংলার অধিবাসীদের মধ্যে যে ব্যাপক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়নি, তার নিশ্চিত সমাধান-সূত্র নিহিত রয়েছে রবীন্দ্র-সাহিত্যদর্শনে। শ্বাশতবঙ্গ'সহ তার অনেক রচনায় এ চেতনা জমাট বেঁধে আছে। কাজী আবদুল ওদুদ রচিত প্রবন্ধাবলির বিষয় ছিল গভীর ও গম্ভীর, ভাষা ও তদনুসারী। যুক্তিতন্ময়তা, রচনাশৈলীর মনোরম ভঙ্গিমা, ভাষার সাধু আকর্ষণীয়তায় তার প্রবন্ধগুলো পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং সেই সঙ্গেই রসিকচিত্তে আনে পাঠ্যান্তের পরম তৃপ্তি। বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে তার যে নিবিড় পরিচয় ছিল, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তার প্রবন্ধগুলো। কেবল বাংলার সাহিত্য বা সংস্কৃতিই নয়, বিদেশি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও ছিল তার সমান পাণ্ডিত্য, যার ফলে উভয় ধারার সাহিত্য ও সংস্কৃতির তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে তিনি বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি স্বচ্ছ চিত্র তুলে ধরেছেন পাঠক সমীপে, এখানেই কাজী আবদুল ওদুদের কৃতিত্ব সর্বাধিক। এই কৃতিত্বের একটা বড় অংশের দাবিদার তার 'শ্বশতবঙ্গ' গ্রন্থখানি। ‘নদীবক্ষে' (১৯১৮) কাজী আবদুল ওদুদের বিখ্যাত উপন্যাস ও ছোটগল্পগ্রন্থ 'মীর পরিবার' (১৯১৮)। রবীন্দ্রকাব্য পাঠ (১৯২৭), নবপর্যায়—দ্বিতীয় খণ্ড (১৯২৯), সমাজ ও সাহিত্য (১৯৩৪), হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ (১৯৩৬), আজকার কথা (১৯৪১), কবিগুরু গ্যেটে (১৯৪৬), শ্বশতবঙ্গ (১৯৫১), স্বাধীনতা দানের উপহার (১৯৫১), কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ-প্রথম খণ্ড (১৯৫৫), বাংলার জাগরণ (১৯৫৬), হযরত মোহাম্মদ ও ইসলাম (১৯৬৬), কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ-দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৬৯) প্রভৃতি তার প্রকাশিত গ্রন্থ। তাঁর সম্পাদিত 'ব্যবহারিক শব্দকোষ' একখানি জনপ্রিয় বাংলা অভিধান।
উনিশ শতকে বাংলায় যে নবজাগরণ সৃচিত হয়েছিল তার যথার্থ মূল্যায়ণ পাওয়া যায় কাজী আবদুল ওদুদের প্রবন্ধে। 'বাংলার জাগরণ' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তার অভিমত ব্যক্ত হয়েছে এভাবে-তারপর রবীন্দ্রনাথ। বঙ্কিমচন্দ্র জাতীয়তার যে রূপ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ তার সঙ্কীর্ণতা ভেঙে তাকে বৃহত্তর করতে প্রয়াসী হয়েছেন। কিন্তু তাঁর আদর্শের অনুপ্রেরণা এ পর্যন্ত বাংলার জাতীয় জীবনে কমই অনুভূত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বঙ্কিমচন্দ্রের জাতীয়ত্বের আদর্শই দেশের জনসাধারণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে, বলা যেতে পারে। রবীন্দ্রনাথ কবি, তাও আবার সূক্ষ্ম-শিল্পী গীতিকবি, তাই যে মহামানবতার গান তিনি গেয়েছেন আমাদের দেশের স্থূল-প্রকৃতি জনসাধারণের জীবনে কত দিকে তার স্পন্দন জাগবে তা ভেবে পাওয়া দুষ্কর।
সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন কাজী আবদুল ওদুদ। মানবতার উপাসক ছিলেন তিনি, কোনো রকমের ধর্মীয় সঙ্কীর্ণতা ও গোঁড়ামি তার মধ্যে ছিল না। বাংলা সাহিত্য ও সাহিত্য রচয়িতাদের সঙ্গে তাঁর ছিল হার্দিক সম্পর্ক। বিশ শতকে ঢাকায় বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি একজন সজাগ বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদ ও লেখক হিসেবে সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ে নিজের প্রজ্ঞা এবং সংবেদনশীলতাকে ক্রিয় রেখেছিলেন। তাঁর গদ্য রচনা প্রাঞ্জল ও বিশ্লেষণধর্মী । মুক্ত বুদ্ধি ও চিন্তাশীলতার ছাপ তার প্রত্যেকটি রচনায় বিদ্যমান। এর দৃষ্টান্ত হিসেবে তার শ্বাশতবঙ্গ' গ্রন্থখানি অনন্য।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ সংগ্রহ করে নিন একটি প্রবন্ধ সংগ্র্রহ- 'নির্বাচিত প্রবন্ধ (শাশ্বত বঙ্গ)' বাংলা বই পিডিএফ।
*এছাড়া আমার সংগ্রহে থাকা এই লেখকের রচনা সংগ্রহের দুটি খন্ড সংগ্রহ করিতে পারেন।
কাজী আবদুল ওদুদ রচনাবলী, পঞ্চম খন্ড
মোট পৃষ্টা- ৯২১
পিডিএফ সাইজ- ১৮এমবি
পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
কাজী আবদুল ওদুদ রচনাবলী, ষষ্ঠ খন্ড
মোট পৃষ্টা- ৭৪৮
পিডিএফ সাইজ- ২০এমবি
পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
এই পোষ্ট হইইতে আপনি সংগ্রহ করিতে পারিলেন- নির্বাচিত প্রবন্ধ (শাশ্বত বঙ্গ), কাজী আবদুল ওদুদ রচনাবলী, পঞ্চম ও ষষ্ঠ খন্ড।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- নির্বাচিত প্রবন্ধ (শাশ্বত বঙ্গ)
লেখক- কাজী আবদুল ওদুদ
বইয়ের ধরন- প্রবন্ধ সংগ্র্রহ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৫৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪৪এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০) প্রথম জীবনে উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনার মধ্য দিয়ে সাহিত্য জীবনে প্রবেশ করলেও যুক্তিধর্মী প্রাবন্ধিক হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। 'শতবঙ্গ' (১৯৫১) তাঁর বিখ্যাত গদ্য রচনাগ্রন্থ। তাঁর জন্ম ফরিদপুর জেলার বাগমারা গ্রামে। তিনি ১৯১৩ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৯১৫ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আই.এ ও ১৯১৭ সালে বিএ পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাস করেন ১৯১৯ সালে। ১৯২০ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে তিনি বাংলার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। দীর্ঘদিন অধ্যাপনার পর তিনি কলকাতায় বদলি হন এবং সেখানে শিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টরের অধীনে টের বুকস কমিটির সম্পাদকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনকল্পে ১৯২৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ'। কাজী আবদুল ওদুদ ছিলেন মুসলিম সাহিত্য সমাজের অন্যতম স্তম্ভ ও নেতা। এই সংগঠনের পত্রিকা ‘শিখা'য় (১৯২৭) তাঁর মুক্তচিন্তা ও যুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন লেখার জন্যে ঢাকার নবাব পরিবার কর্তৃক নিগৃহীত হয়ে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করেন কলকাতায়। রাজা রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জার্মান কৰি গ্যেটেকে তাঁর জীবন চেতনার আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁদের জীবনদর্শন ও সাহিত্যকর্মের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, অনুশীলন ও অনুসরণ এবং সেই সঙ্গে বাংলার পশ্চাৎপদ। মুসলিম সমাজে মুক্তচিন্তা ও অসাম্প্রদায়িক ধ্যান-ধারণা জাগ্রত করার অভিপ্রায়ে সাহিত্যসাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর 'শ্বশতবস' গ্রন্থের বিন্নি রচনায় এসব চিন্তাচেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।
জীবনের প্রাথমিক পর্বে মুক্তচিন্তার অধিকারী কাজী আবদুল ওদুদের সাহিত্যিক আদর্শ ছিলেন গ্যেটে, যার কাব্যের ধ্রুপদী আদর্শ, গম্ভীর ভাবমূলক রচনাকৌশল, শুভবোধ, মনন ও বিশ্বাত্মচেতনা তাঁকে প্রগাঢ়রূপে আকৃষ্ট করেছিল। পরবর্তী সময়ে তার সাহিত্য-প্রেরণা ছিল রবীন্দ্র-কাব্যজগৎ। রবীন্দ্র-জীবনদর্শন তাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছিল। কবি গুরুর জীবন ছিল তার কাছে পরম আকর্ষণের বস্তু, রবীন্দ্র-কাব্য ছিল তাঁর প্রাণের শান্তি, মনের আরাম। তিনি গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন যে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দুই বাংলা এবং দুই বাংলার অধিবাসীদের মধ্যে যে ব্যাপক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়নি, তার নিশ্চিত সমাধান-সূত্র নিহিত রয়েছে রবীন্দ্র-সাহিত্যদর্শনে। শ্বাশতবঙ্গ'সহ তার অনেক রচনায় এ চেতনা জমাট বেঁধে আছে। কাজী আবদুল ওদুদ রচিত প্রবন্ধাবলির বিষয় ছিল গভীর ও গম্ভীর, ভাষা ও তদনুসারী। যুক্তিতন্ময়তা, রচনাশৈলীর মনোরম ভঙ্গিমা, ভাষার সাধু আকর্ষণীয়তায় তার প্রবন্ধগুলো পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং সেই সঙ্গেই রসিকচিত্তে আনে পাঠ্যান্তের পরম তৃপ্তি। বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে তার যে নিবিড় পরিচয় ছিল, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তার প্রবন্ধগুলো। কেবল বাংলার সাহিত্য বা সংস্কৃতিই নয়, বিদেশি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও ছিল তার সমান পাণ্ডিত্য, যার ফলে উভয় ধারার সাহিত্য ও সংস্কৃতির তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে তিনি বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি স্বচ্ছ চিত্র তুলে ধরেছেন পাঠক সমীপে, এখানেই কাজী আবদুল ওদুদের কৃতিত্ব সর্বাধিক। এই কৃতিত্বের একটা বড় অংশের দাবিদার তার 'শ্বশতবঙ্গ' গ্রন্থখানি। ‘নদীবক্ষে' (১৯১৮) কাজী আবদুল ওদুদের বিখ্যাত উপন্যাস ও ছোটগল্পগ্রন্থ 'মীর পরিবার' (১৯১৮)। রবীন্দ্রকাব্য পাঠ (১৯২৭), নবপর্যায়—দ্বিতীয় খণ্ড (১৯২৯), সমাজ ও সাহিত্য (১৯৩৪), হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ (১৯৩৬), আজকার কথা (১৯৪১), কবিগুরু গ্যেটে (১৯৪৬), শ্বশতবঙ্গ (১৯৫১), স্বাধীনতা দানের উপহার (১৯৫১), কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ-প্রথম খণ্ড (১৯৫৫), বাংলার জাগরণ (১৯৫৬), হযরত মোহাম্মদ ও ইসলাম (১৯৬৬), কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ-দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৬৯) প্রভৃতি তার প্রকাশিত গ্রন্থ। তাঁর সম্পাদিত 'ব্যবহারিক শব্দকোষ' একখানি জনপ্রিয় বাংলা অভিধান।
উনিশ শতকে বাংলায় যে নবজাগরণ সৃচিত হয়েছিল তার যথার্থ মূল্যায়ণ পাওয়া যায় কাজী আবদুল ওদুদের প্রবন্ধে। 'বাংলার জাগরণ' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তার অভিমত ব্যক্ত হয়েছে এভাবে-তারপর রবীন্দ্রনাথ। বঙ্কিমচন্দ্র জাতীয়তার যে রূপ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ তার সঙ্কীর্ণতা ভেঙে তাকে বৃহত্তর করতে প্রয়াসী হয়েছেন। কিন্তু তাঁর আদর্শের অনুপ্রেরণা এ পর্যন্ত বাংলার জাতীয় জীবনে কমই অনুভূত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বঙ্কিমচন্দ্রের জাতীয়ত্বের আদর্শই দেশের জনসাধারণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে, বলা যেতে পারে। রবীন্দ্রনাথ কবি, তাও আবার সূক্ষ্ম-শিল্পী গীতিকবি, তাই যে মহামানবতার গান তিনি গেয়েছেন আমাদের দেশের স্থূল-প্রকৃতি জনসাধারণের জীবনে কত দিকে তার স্পন্দন জাগবে তা ভেবে পাওয়া দুষ্কর।
সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন কাজী আবদুল ওদুদ। মানবতার উপাসক ছিলেন তিনি, কোনো রকমের ধর্মীয় সঙ্কীর্ণতা ও গোঁড়ামি তার মধ্যে ছিল না। বাংলা সাহিত্য ও সাহিত্য রচয়িতাদের সঙ্গে তাঁর ছিল হার্দিক সম্পর্ক। বিশ শতকে ঢাকায় বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি একজন সজাগ বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদ ও লেখক হিসেবে সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ে নিজের প্রজ্ঞা এবং সংবেদনশীলতাকে ক্রিয় রেখেছিলেন। তাঁর গদ্য রচনা প্রাঞ্জল ও বিশ্লেষণধর্মী । মুক্ত বুদ্ধি ও চিন্তাশীলতার ছাপ তার প্রত্যেকটি রচনায় বিদ্যমান। এর দৃষ্টান্ত হিসেবে তার শ্বাশতবঙ্গ' গ্রন্থখানি অনন্য।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ সংগ্রহ করে নিন একটি প্রবন্ধ সংগ্র্রহ- 'নির্বাচিত প্রবন্ধ (শাশ্বত বঙ্গ)' বাংলা বই পিডিএফ।
*এছাড়া আমার সংগ্রহে থাকা এই লেখকের রচনা সংগ্রহের দুটি খন্ড সংগ্রহ করিতে পারেন।
কাজী আবদুল ওদুদ রচনাবলী, পঞ্চম খন্ড
মোট পৃষ্টা- ৯২১
পিডিএফ সাইজ- ১৮এমবি
পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
কাজী আবদুল ওদুদ রচনাবলী, ষষ্ঠ খন্ড
মোট পৃষ্টা- ৭৪৮
পিডিএফ সাইজ- ২০এমবি
পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
এই পোষ্ট হইইতে আপনি সংগ্রহ করিতে পারিলেন- নির্বাচিত প্রবন্ধ (শাশ্বত বঙ্গ), কাজী আবদুল ওদুদ রচনাবলী, পঞ্চম ও ষষ্ঠ খন্ড।
No comments:
Post a Comment