অমৃতা প্রীতম শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার বাংলা অনুবাদ বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- অমৃতা প্রীতম শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার
অনুবাদ ও সম্পাদনা- অসিত সরকার
বইয়ের ধরন- অনুবাদ গল্প সংগ্রহ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৩এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম অমৃতা প্রীতম। সাহিত্যিক হিসেবে ঋজু বৈপ্লবিক চেতনা ও দৃঢ়তায় সমাজকে তিনি যতটা না শৃঙ্খলমুক্ত করতে পেরেছেন, কিংবা সমৃদ্ধশালী করে তুলতে পেরেছেন ভারতীয় সাহিত্যকে, তাঁর চাইতে সত্তার একক বিদ্রোহে নিজেই বিধ্বস্ত হয়েছেন অনেক বেশি। তবে কোনো কৃত্রিমতা বা আড়াল দিয়ে তিনি নিজেকে কখনও ঢেকে রাখেন নি, রাখার চেষ্টাও করেন নি এবং তাঁর এই অকপট স্বীকারুক্তিই অমৃতা প্রীতমের সাহিত্যের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট, সম্ভবত এরই জন্যে বিতর্কিত হয়েও সাহিত্যিক হিসেবে তিনি আজ অসম্ভব জনপ্রিয়। অবিভক্ত পাঞ্জাবের মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে অমৃতা প্রীতমের জন্ম ১৯১৯ সালে। বাবা ছিলেন সাহিত্যিক। কৈশোরে, মার আকস্মিক মৃত্যুর পর, নিঃসঙ্গতার হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্যেই অমৃতা প্রীম প্রথম কবিতা লিখতে শুরু করেন। ১৯৩৬ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'থানডিয়ান কিরনান' বা ‘হিমেল রশ্মি' যখন প্রকাশিত হয়, কবির বয়স তখন মাত্র সতেরো। এর পর থেকে তিনি অজস্র কবিতা লিখেছেন। সঠিক সমাজচেতনার ভাস্বর কোনো পৃথিবীর স্বপ্নকে তিনি সার্থক করে তুলতে না পারলেও, ছন্দ, ভাষা, চিত্রকল্প আর আঙ্গিকের অনন্যতায় কবিতার শরীরে তিনি আনতে পেরেছিলেন মাধুর্যের স্বাদ। আত্মঅহমিকা এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক মানসিকতাকে নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিয়ে যতই বলুন না কেন ঃ “পৃথিবীর কথা আমি কখনও ভাবিনি এবং এখনও ভাবি না। আমি লিখি কেবলমাত্র আমার অন্তর্নিহিত সত্তার শান্তির জন্য...” কথাটা কিন্তু আদৌ সত্যি নয়, তা যদি হতো তাহলে ধর্মান্ধতা, অবক্ষয়ী মানবিক মূল্যবোধ এবং সমাজের কদর্য দিকগুলোর ওপর তিনি কখনও এমন নির্মমভাবে চাবুক হানতে পারতেন না। পলিন লুমুমা তো দূরের কথা, ভারতবর্ষের, বিশেষ করে স্বাধীনতার ঠিক পরেই ছিন্নমূল, বঞ্চিত, রিক্ত মানুষের আশা-আকাঙ্খা, বেদনা কোনোদিনই রূপ পেতো না তার অজস্র কবিতায়।
সাহিত্যের সব শাখায় অবাধ বিচরণ সত্ত্বেও, কবিতাই অমৃতা প্রীতমকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে সব চাইতে বেশি। আজ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় কুড়িটি। ‘শুনেহুরে’ বা ‘সংবেদন' কাব্যগ্রন্থের জন্যে তিনি ১৯৫৬ সালে আকাদামি পুরস্কার পান। ১৯৫৭ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান ‘কাগজতে ক্যানভাস' বা 'কাগজ ও ক্যানভাস' কাব্যগ্রন্থের জন্যে। এছাড়াও তিনি যেসব আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন, তা প্রায় সবই কবিতার জন্যে।
১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয় অমৃতা প্রীতমের প্রথম উপন্যাস ‘ডাক্তার দেব'। সামাজিক প্রথায় দেহমিলনের চাইতে সত্তার মিলকে প্রাধান্য দেওয়ার ফলে ডাক্তার দেব' সে সময়ে বিতর্কের ঝড় তোলে। প্ৰকত প্রেম বা ভালোবাসার সংজ্ঞা নিরূপন করতে গিয়ে প্রায় অনুরূপ ভাবনাকেই অমৃতা প্রীতম অনুসরণ করেছেন তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে। তাই এই পর্যায়ের উপন্যাসগুলির মধ্যে 'কঙ্কাল’, 'নীড়' ‘ইভের দুটি মুখ’,‘একটি প্রশ্ন' সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। পরবর্তী পর্যায়ের উপন্যাস 'বন্ধ দরজা’, ‘একদিন অনীতা নামে কেউ ছিলো', ' ত্রিশ নম্বর গ্রাম’, ‘তুরুপের তাস’ ‘পৃথিবী সমুদ্র ঝিনুক’ ব্যাপ্তি ও আঙ্গিকের দিক থেকে অনেক বেশি পরিণত। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো-তাঁর আত্মজীবনী মূলক রচনা ‘দি রেভিনিউ স্ট্যাম্প’ নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য রচনা।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা, উপন্যাসের চাইতে অমৃত প্রীতমের ছোট গল্প অনেক বেশি শক্তিশালী, বিশেষ করে তার রূপকাশ্রয়ী গল্পগুলো সত্যিই তুলনাবিহীন। 'ছাব্বিশ বছর পরে', 'আখিরী খৎ', 'গোজার দিয়াঁ পরিয়া', ‘চানন দা হৌকা’, ‘জঙ্গলী বুটী’, ‘একটি শহরের মৃত্যু' তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গল্প সংকলন।
গল্প কবিতা উপন্যাস নাটক প্রবন্ধ সমালোচনা নিয়ে অমৃতা প্রীতমের গ্রন্থের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। এর থেকেই নির্বাচন করে ইচ্ছে আছে কয়েকটি খণ্ডে তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনাসম্ভারকে বাঙালী পাঠকের সামনে তুলে ধরার। অমৃতা প্রীতম নিজেও এই পরিকল্পনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। একটা উপন্যাস, পনেরোটা গল্প এবং কিছু কবিতা নিয়ে নমুনা হিসেবে প্রথম খণ্ডটি পাঠকের কাছে উপস্থিত করলাম, জানি না কতটা হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠতে পারবে। তবে শুধু এইটুকু বলতে পারি—আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যিকদের মধ্যে এমন একজনকে নির্বাচন করতে পেরেছি, যিনি নিজেই নিজের সম্পর্কে বলেছেন: ‘খ্যাতি ও সম্পদের ধুলোয় আমি আবৃত হতে পারি, কিন্তু আমার হৃদয়ের রক্তের রঙ চিরকালই রক্তিম রয়ে যাবে।”- অসিত সরকার
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অমৃতা প্রীতম-এর উপন্যাস ও ছোটগল্প অনুবাদ বই- 'অমৃতা প্রীতম শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- অমৃতা প্রীতম শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার
অনুবাদ ও সম্পাদনা- অসিত সরকার
বইয়ের ধরন- অনুবাদ গল্প সংগ্রহ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৩এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
লেখক- অমৃতা প্রীতম (অমৃতা কৌর) সমন্ধে অনুবাদকের কিছু কথা-
আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম অমৃতা প্রীতম। সাহিত্যিক হিসেবে ঋজু বৈপ্লবিক চেতনা ও দৃঢ়তায় সমাজকে তিনি যতটা না শৃঙ্খলমুক্ত করতে পেরেছেন, কিংবা সমৃদ্ধশালী করে তুলতে পেরেছেন ভারতীয় সাহিত্যকে, তাঁর চাইতে সত্তার একক বিদ্রোহে নিজেই বিধ্বস্ত হয়েছেন অনেক বেশি। তবে কোনো কৃত্রিমতা বা আড়াল দিয়ে তিনি নিজেকে কখনও ঢেকে রাখেন নি, রাখার চেষ্টাও করেন নি এবং তাঁর এই অকপট স্বীকারুক্তিই অমৃতা প্রীতমের সাহিত্যের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট, সম্ভবত এরই জন্যে বিতর্কিত হয়েও সাহিত্যিক হিসেবে তিনি আজ অসম্ভব জনপ্রিয়। অবিভক্ত পাঞ্জাবের মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে অমৃতা প্রীতমের জন্ম ১৯১৯ সালে। বাবা ছিলেন সাহিত্যিক। কৈশোরে, মার আকস্মিক মৃত্যুর পর, নিঃসঙ্গতার হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্যেই অমৃতা প্রীম প্রথম কবিতা লিখতে শুরু করেন। ১৯৩৬ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'থানডিয়ান কিরনান' বা ‘হিমেল রশ্মি' যখন প্রকাশিত হয়, কবির বয়স তখন মাত্র সতেরো। এর পর থেকে তিনি অজস্র কবিতা লিখেছেন। সঠিক সমাজচেতনার ভাস্বর কোনো পৃথিবীর স্বপ্নকে তিনি সার্থক করে তুলতে না পারলেও, ছন্দ, ভাষা, চিত্রকল্প আর আঙ্গিকের অনন্যতায় কবিতার শরীরে তিনি আনতে পেরেছিলেন মাধুর্যের স্বাদ। আত্মঅহমিকা এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক মানসিকতাকে নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিয়ে যতই বলুন না কেন ঃ “পৃথিবীর কথা আমি কখনও ভাবিনি এবং এখনও ভাবি না। আমি লিখি কেবলমাত্র আমার অন্তর্নিহিত সত্তার শান্তির জন্য...” কথাটা কিন্তু আদৌ সত্যি নয়, তা যদি হতো তাহলে ধর্মান্ধতা, অবক্ষয়ী মানবিক মূল্যবোধ এবং সমাজের কদর্য দিকগুলোর ওপর তিনি কখনও এমন নির্মমভাবে চাবুক হানতে পারতেন না। পলিন লুমুমা তো দূরের কথা, ভারতবর্ষের, বিশেষ করে স্বাধীনতার ঠিক পরেই ছিন্নমূল, বঞ্চিত, রিক্ত মানুষের আশা-আকাঙ্খা, বেদনা কোনোদিনই রূপ পেতো না তার অজস্র কবিতায়।
সাহিত্যের সব শাখায় অবাধ বিচরণ সত্ত্বেও, কবিতাই অমৃতা প্রীতমকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে সব চাইতে বেশি। আজ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় কুড়িটি। ‘শুনেহুরে’ বা ‘সংবেদন' কাব্যগ্রন্থের জন্যে তিনি ১৯৫৬ সালে আকাদামি পুরস্কার পান। ১৯৫৭ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান ‘কাগজতে ক্যানভাস' বা 'কাগজ ও ক্যানভাস' কাব্যগ্রন্থের জন্যে। এছাড়াও তিনি যেসব আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন, তা প্রায় সবই কবিতার জন্যে।
১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয় অমৃতা প্রীতমের প্রথম উপন্যাস ‘ডাক্তার দেব'। সামাজিক প্রথায় দেহমিলনের চাইতে সত্তার মিলকে প্রাধান্য দেওয়ার ফলে ডাক্তার দেব' সে সময়ে বিতর্কের ঝড় তোলে। প্ৰকত প্রেম বা ভালোবাসার সংজ্ঞা নিরূপন করতে গিয়ে প্রায় অনুরূপ ভাবনাকেই অমৃতা প্রীতম অনুসরণ করেছেন তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে। তাই এই পর্যায়ের উপন্যাসগুলির মধ্যে 'কঙ্কাল’, 'নীড়' ‘ইভের দুটি মুখ’,‘একটি প্রশ্ন' সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। পরবর্তী পর্যায়ের উপন্যাস 'বন্ধ দরজা’, ‘একদিন অনীতা নামে কেউ ছিলো', ' ত্রিশ নম্বর গ্রাম’, ‘তুরুপের তাস’ ‘পৃথিবী সমুদ্র ঝিনুক’ ব্যাপ্তি ও আঙ্গিকের দিক থেকে অনেক বেশি পরিণত। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো-তাঁর আত্মজীবনী মূলক রচনা ‘দি রেভিনিউ স্ট্যাম্প’ নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য রচনা।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা, উপন্যাসের চাইতে অমৃত প্রীতমের ছোট গল্প অনেক বেশি শক্তিশালী, বিশেষ করে তার রূপকাশ্রয়ী গল্পগুলো সত্যিই তুলনাবিহীন। 'ছাব্বিশ বছর পরে', 'আখিরী খৎ', 'গোজার দিয়াঁ পরিয়া', ‘চানন দা হৌকা’, ‘জঙ্গলী বুটী’, ‘একটি শহরের মৃত্যু' তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গল্প সংকলন।
গল্প কবিতা উপন্যাস নাটক প্রবন্ধ সমালোচনা নিয়ে অমৃতা প্রীতমের গ্রন্থের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। এর থেকেই নির্বাচন করে ইচ্ছে আছে কয়েকটি খণ্ডে তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনাসম্ভারকে বাঙালী পাঠকের সামনে তুলে ধরার। অমৃতা প্রীতম নিজেও এই পরিকল্পনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। একটা উপন্যাস, পনেরোটা গল্প এবং কিছু কবিতা নিয়ে নমুনা হিসেবে প্রথম খণ্ডটি পাঠকের কাছে উপস্থিত করলাম, জানি না কতটা হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠতে পারবে। তবে শুধু এইটুকু বলতে পারি—আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যিকদের মধ্যে এমন একজনকে নির্বাচন করতে পেরেছি, যিনি নিজেই নিজের সম্পর্কে বলেছেন: ‘খ্যাতি ও সম্পদের ধুলোয় আমি আবৃত হতে পারি, কিন্তু আমার হৃদয়ের রক্তের রঙ চিরকালই রক্তিম রয়ে যাবে।”- অসিত সরকার
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অমৃতা প্রীতম-এর উপন্যাস ও ছোটগল্প অনুবাদ বই- 'অমৃতা প্রীতম শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
কিছু কিছু বইএর লিংক খুঁজে পাওয়া সমস্য হছে।
ReplyDeleteকেন Apurba বাবু? ডাউনলোড কি হচ্ছে না বা সমস্যা হচ্ছে। পরিস্কার করে তো লেখা রয়েছে 'বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন' এই লেখা দুটির মধ্যে একটু গুতো দিয়ে দেখো কিছুু একটা হবেই।
ReplyDelete