অগ্নিগর্ভা কাশ্মীর- অলকরঞ্জন পাল বাংলা বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- অগ্নিগর্ভা কাশ্মীর
লেখক- অলকরঞ্জন পাল
বইয়ের ধরন- তথ্যমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৭৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৯এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ভারত উপমহাদেশের শীর্ষস্থানে অবস্থিত কাশ্মীর রাজ্য প্রাগৈতিহাসিক ও ঐতিহাসিক কালে এক গুরত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। বর্তমানকালেও স্বাধীনতা লাভের পর কাশ্মীর রাজ্য রাজনৈতিক কলহের লীলাক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য অতি প্রাচীনকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত কাশ্মীরের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষিতটা আমাদের সকলেরই জানা উচিত বলে মনে করি। কাশ্মীরের ভাষা ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগুচ্ছের দরদীয় উপশাখার দক্ষিণতম উপশাখা। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে সংস্কৃতের সংস্পশের কারণে, কাশ্মিরী দরদীয় বৈশিষ্ট্যমুলক লক্ষণসমূহ থেকে মুক্ত।
প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতত্ব থেকে আমরা জানি যে অন্তিম প্রত্নোপলীয় যুগে ককেশীয় নরগোষ্ঠী তাদের আদিম বাসস্থান থেকে নানাদিকে নিজেদের পরিব্যাপ্ত করেছিল। ১৯৬৪-৬৫ খ্রীস্টাব্দে কাশ্মীরের শ্রীনগরে নবোপলীয় যুগের আবিষ্কৃত এক কঙ্কাল থেকে আমরা জানতে পারি যে সে সময় তারা কাশ্মীরে এসেও উপস্থিত হয়েছিল। কেননা কাশ্মীরের সাধারণ অধিবাসীদের মধ্যে যে নৃতাত্ত্বিক পর্যায়ের ( racial) সন্ধান পাওয়া যায়, তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লম্বা মাথা, উন্নত নাসিকা, গোলাপী আভাবিশিষ্ট ফর্সা গায়ের রঙ। এগুলি সবই ককেশীয় জাতির লক্ষণ। নবোপলীয় যুগের প্রত্ন নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে কাশ্মীরের বুরজাহোম। রেডিয়ো কারবন-১৪ পরীক্ষায় এগুলির বয়স নির্ণীত হয়েছে ১৪১৮-১৫৯৩ খ্রস্টপূর্বাব্দ। বুরজাহোমের নবোপলীয় যুগের লোকেরা মাটির তলায় গুহাগৃহে বাস করত। অন্তিম দশায় ধনুকে ব্যবহারের জন্য তামার বাণমুখ তৈরি করত। মৃতের সঙ্গে কুকুরকেও তারা সমাধিস্থ করত। (তুলনীয়, মহাভারতের জতুগহে মাটির তলায় গুহাগৃহ ও পাণ্ডবদের মহাপ্রস্থানের পথে কুকুরের অনুগমন)।
আলোচ্য পুস্তকখানির সুত্রপাত খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রকের তৃতীয় শতাব্দী থেকে। গভীর নিষ্ঠাপূর্ণ অনুশীলনের সহিত বইখানি লিখিত। পৌরাণিক যুগ থেকে আরম্ভ করে লেখক পরপর হিন্দু রাজত্বকাল, মুসলমানদের আগমন, পুনরায় হিন্দু, ও শিখদের আগমন এবং বর্তমান অবস্থার পর্যালোচনা করেছেন।
বইখানার এক চিত্তাকর্ষক অধ্যায় হচ্ছে ভারতে যীশুখ্রীস্ট। এই অধ্যায় থেকে যীশুখ্রীস্টের জীবনাবসানের উত্তরকালের ঘটনাবলী সম্বন্ধে নতুন আলোকপাত পাওয়া যায়।
মোটামুটিভাবে বলি বইখানি প্রগাঢ় পাণ্ডিত্যের সঙ্গে লেখা। কাশ্মীর সমস্যা সম্বন্ধে কৌতূহলী পাঠকবৃন্দের কাছে বইখানি বিশেষ সমাদৃতে হবে।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, তোমরা এই পোষ্ট হইতে অসাধারণ একটি বই- 'অগ্নিগর্ভা কাশ্মীর- অলকরঞ্জন পাল'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- অগ্নিগর্ভা কাশ্মীর
লেখক- অলকরঞ্জন পাল
বইয়ের ধরন- তথ্যমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৭৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৯এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ভারত উপমহাদেশের শীর্ষস্থানে অবস্থিত কাশ্মীর রাজ্য প্রাগৈতিহাসিক ও ঐতিহাসিক কালে এক গুরত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। বর্তমানকালেও স্বাধীনতা লাভের পর কাশ্মীর রাজ্য রাজনৈতিক কলহের লীলাক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য অতি প্রাচীনকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত কাশ্মীরের ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষিতটা আমাদের সকলেরই জানা উচিত বলে মনে করি। কাশ্মীরের ভাষা ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগুচ্ছের দরদীয় উপশাখার দক্ষিণতম উপশাখা। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে সংস্কৃতের সংস্পশের কারণে, কাশ্মিরী দরদীয় বৈশিষ্ট্যমুলক লক্ষণসমূহ থেকে মুক্ত।
প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতত্ব থেকে আমরা জানি যে অন্তিম প্রত্নোপলীয় যুগে ককেশীয় নরগোষ্ঠী তাদের আদিম বাসস্থান থেকে নানাদিকে নিজেদের পরিব্যাপ্ত করেছিল। ১৯৬৪-৬৫ খ্রীস্টাব্দে কাশ্মীরের শ্রীনগরে নবোপলীয় যুগের আবিষ্কৃত এক কঙ্কাল থেকে আমরা জানতে পারি যে সে সময় তারা কাশ্মীরে এসেও উপস্থিত হয়েছিল। কেননা কাশ্মীরের সাধারণ অধিবাসীদের মধ্যে যে নৃতাত্ত্বিক পর্যায়ের ( racial) সন্ধান পাওয়া যায়, তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লম্বা মাথা, উন্নত নাসিকা, গোলাপী আভাবিশিষ্ট ফর্সা গায়ের রঙ। এগুলি সবই ককেশীয় জাতির লক্ষণ। নবোপলীয় যুগের প্রত্ন নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে কাশ্মীরের বুরজাহোম। রেডিয়ো কারবন-১৪ পরীক্ষায় এগুলির বয়স নির্ণীত হয়েছে ১৪১৮-১৫৯৩ খ্রস্টপূর্বাব্দ। বুরজাহোমের নবোপলীয় যুগের লোকেরা মাটির তলায় গুহাগৃহে বাস করত। অন্তিম দশায় ধনুকে ব্যবহারের জন্য তামার বাণমুখ তৈরি করত। মৃতের সঙ্গে কুকুরকেও তারা সমাধিস্থ করত। (তুলনীয়, মহাভারতের জতুগহে মাটির তলায় গুহাগৃহ ও পাণ্ডবদের মহাপ্রস্থানের পথে কুকুরের অনুগমন)।
আলোচ্য পুস্তকখানির সুত্রপাত খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রকের তৃতীয় শতাব্দী থেকে। গভীর নিষ্ঠাপূর্ণ অনুশীলনের সহিত বইখানি লিখিত। পৌরাণিক যুগ থেকে আরম্ভ করে লেখক পরপর হিন্দু রাজত্বকাল, মুসলমানদের আগমন, পুনরায় হিন্দু, ও শিখদের আগমন এবং বর্তমান অবস্থার পর্যালোচনা করেছেন।
বইখানার এক চিত্তাকর্ষক অধ্যায় হচ্ছে ভারতে যীশুখ্রীস্ট। এই অধ্যায় থেকে যীশুখ্রীস্টের জীবনাবসানের উত্তরকালের ঘটনাবলী সম্বন্ধে নতুন আলোকপাত পাওয়া যায়।
মোটামুটিভাবে বলি বইখানি প্রগাঢ় পাণ্ডিত্যের সঙ্গে লেখা। কাশ্মীর সমস্যা সম্বন্ধে কৌতূহলী পাঠকবৃন্দের কাছে বইখানি বিশেষ সমাদৃতে হবে।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, তোমরা এই পোষ্ট হইতে অসাধারণ একটি বই- 'অগ্নিগর্ভা কাশ্মীর- অলকরঞ্জন পাল'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment