ভৌতিক ও অলৌকিক কাহিনী গোপালচন্দ্র রায় বাংলা ভুতের গল্প পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ভৌতিক ও অলৌকিক কাহিনী
লেখক- গোপালচন্দ্র রায়
বইয়ের ধরন- ভুতের গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৬১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
গ্রন্থকারের নিবেদন-
মানুষ মরে গিয়ে আবার দেখা দিলে, আমরা সাধারণত তাকেই ভূত বলি। কিন্তু এই ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে যে মতভেদ, তা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই আবহমানকাল থেকেই চলে আসছে। একদল বলেন- ভূত আছে। অপর দল বলেন— ভূত নেই।
যাঁরা ভূত বিশ্বাস করেন না, তারা ভূত বিশ্বাসীদের বলেন—ও আপনাদের রজ্জুতে সর্পভ্রম। আপনারা অন্য কিছু দেখে, তাকেই ভুলবশতঃ ভূত বলে থাকেন। ভূত বিশ্বাসীরা বা ভূত প্রত্যক্ষকারীরা, ভূত দেখার ব্যাপারে সকলেরই যে সর্বত্রই দৃষ্টিভ্রম হয়, একথা স্বীকার করেন না। তারা বলেন— ভয়ে কারও কারও দৃষ্টিভ্রম হতে পারে সত্য, কিন্তু তাই বলে সকল ক্ষেত্রেই যে হয়, তা মোটেই নয়। তারা সজ্ঞানে ও সুস্পষ্টভাবেই ভূত দেখেছেন এবং নানাভাবে ভূতের পরিচয়ও পেয়েছেন।
তারা আরও বলে থাকেন, মানুষ মৃত্যুর পরে দেখা না দিলেও, পরলোকে তার অশরীরী আত্মার যে অস্তিত্ব থাকে এবং ইচ্ছা করলে সেই আত্মা কাউকে অবলম্বন করে এই মর্ত্যে যে নেমে আসতেও পারে, তারও প্রমাণ তারা দেখেছেন। পাশ্চাত্য দেশের জজ ডবলিউ এড়মন্ড, জেমস বার্ণস, অলিভার লজ প্রমুখ পরলোকতত্ত্ববিরা পরলোকতত্ত্ব সম্বন্ধে প্রচুর আলোচনা করে এইটাই দেখিয়েছেন যে, মানুষের মৃত্যুর পর তার আত্মাকে প্ল্যানচেট প্রভৃতির সাহায্যে আনা যায় এবং তার সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদানও করা যায়।
আমাদের দেশের পরলোকতত্ত্ববিদরাও এই প্ল্যানচেট প্রভৃতির সাহায্যে এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণও দেখিয়েছেন। আমাদের দেশের শুধুপরলোকতত্ত্ববিদরা কেন, আমাদের দেশের সাধুসন্তরাও এই পারলৌকিক আত্মাকে যেমন নিজেরা দেখেছেন, অপরকেও তেমনি দেখিয়েছেন। যেমন— ১. বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বৃন্দাবনে থাকার সময় একদিন হঠাৎ আকাশের দিকে
চেয়েই তার শিষ্যদের বলে উঠেছিলেন ওই দেখ, এইমাত্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মহাপ্রয়াণ হয়ে গেল। আমি তাকে শুন্যে চলে যেতে দেখতে পাচ্ছি। গোস্বামী মহাশয়ের শিষ্যবর্গ পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলেন, ওইদিন ঠিক ওই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় পরলোকগমন করেন। ২. ভোলা গিরি হরিদ্বারে বিখ্যাত গণিতজ্ঞ সোমেশ বসুর মৃত স্ত্রীর আত্মাকে আনিয়ে এবং পাশাপাশি আসনে সোমেশবাবু ও তার স্ত্রীর আত্মাকে পূর্ব দেহ ধারণ করিয়ে বসিয়ে, সোমেশবাবুকে সস্ত্রীক দীক্ষা দিয়েছিলেন। ৩. স্বামী বিবেকানন্দ এক ভুতের অনুরোধে তাকে উদ্ধার করবার জন্য তার পিন্ড
দিয়েছিলেন। ইত্যাদি।
প্রিয় পাঠকগণ, এছাড়া আপনারা এই ব্লগ হইতে আরো ভুতের গল্পের বই সংগ্রহ করতে পারবেন-
*দেশি ভূতের গল্প- অশরীরীদের বাংলা গল্প সংগ্রহ বই
*বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভূতের গল্প
*১০০ ভূতের ১০০ বাড়ি
*ভূতেরা সব এইখানে
*ভৌতিক সমগ্র - হেমেন্দ্রকুমার রায়
*ভৌতিক অমনিবাস- পার্থ চট্টোপাধ্যায়
*ভৌতিক অমনিবাস - মানবেন্দ্ৰ পাল
*ভৌতিক গল্প সংকলন
*দেশ বিদেশের ভুতুড়ে বাড়ি- শুভদেব চক্রবর্তী
*ভৌতিক মজার মজার গল্প
যাই হোক, পরলোকতত্ত্ব বা ভূতত্ত্ব নিয়ে লোকের মধ্যে মতভেদ থাকলেও, সকল সভ্যদেশেই কিন্তু ভূত ও পরলোক নিয়ে সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রচুর সাহিত্য সৃষ্টি হয়ে আসছে।
সংস্কৃত সাহিত্যে বৃহদারুণ্যক উপনিষদে বিদেহরাজ জনকের সভায় ব্রহ্মাজান আলোচনা কালে যে ভূতে-পাওয়ার গল্পটি আছে, সেইটিই বোধকরি আমাদের দেশের আদি ভৌতিক কাহিনী।
ব্রাহ্মণ গ্রন্থেও পিতৃপুরুষ নামে একশ্রেণির অশরীরী আত্মার কথা রয়েছে। অথর্ব বেদে 'ভূতের কাহিনীই নয়, ভূত ছাড়ানোর মন্ত্রও আছে। অর্বাচীন সংস্কৃত সাহিত্য এবং পালি প্রাকৃত সাহিত্যেও ভৌতিক কাহিনীর অভাব নাই। আর আধুনিক ভারতীয় ভাষাগুলির তো কথাই নাই। বাংলায় রবীন্দ্রনাথ, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রমথ চৌধুরী, মণীন্দ্রলাল বসু, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, ফণীন্দ্রনাথ পাল, হেমেন্দ্রকুমার রায়, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ সাহিত্যিকই বাংলা ভাষায় ভালো ভালো ভূতের গল্প রচনা করেছেন। এই সকল সাহিত্যিকদের সকলেই যে ভূত প্রত্যক্ষ করেছেন, তা নাও হতে পারে। এঁদের কেউ কেউ হয়ত নিছক গল্প রচনা হিসাবেই ভূতের গল্প লিখেছেন। কিন্তু এই বাংলা দেশেরই এমন বহু সাহিত্যিকের কথা আমি জানি, তারা ভূত বা পরলোক নিয়ে গল্প রচনা না করলেও, তারা ভূত প্রত্যক্ষ করেছেন এবং মৃত ব্যক্তির আত্মার নিকট হতে প্ল্যানচেট প্রভৃতির সাহায্যে 'অনেক প্রশ্নের উত্তর আদায় করেছেন।
বাংলার সাহিত্যরথীদের প্রত্যক্ষ করা বা বিশ্বাস করা ভৌতিক কাহিনীগুলি নিয়েই এই গ্রন্থটি রচনা করেছি।
বইটি অনেকদিন আগেই লিখে প্রকাশ করেছিলাম। তখন অল্প দিনের মধ্যে সব বই বিক্রিও হয়ে গিয়েছিল। তারপর অন্য লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এ বই আর ছাপা হয়নি। এখন প্রকাশকের আগ্রহে আবার ছাপা হল।
যে বাস্তব ভুতের অথবা অলৌকিক গল্পগুলি এই বইতে রয়েছে-
বঙ্কিমচন্দ্রের ভৌতিক অভিজ্ঞতা
নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী
রাজনারায়ণ বর্ণিত ভৌতিক কাহিনী
চক্রে দীনবন্ধু ও সঞ্জীবচন্দ্র
প্রেততত্ত্ববিদ প্যারীচাদ
শিশিরকুমারের ভূত দর্শন
দীনেশচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পিতামহের অপমৃত্যু
পরলোকতত্ত্ব চর্চায় রবীন্দ্রনাথ
ভূতের প্রতি নবীনচন্দ্রের ক্ষমা
করুণানিধানের মৃত আত্মীয়
শরৎচন্দ্রের পিতার দেখা ভূত
ক্ষিরোদপ্রসাদের ‘অলৌকিক রহস্য’
ব্রজেন্দ্রনাথ বর্ণিত ভৌতিক কাহিনী
কিশোরীচাঁদের জানা ভৌতিক কাহিনী
গিরিশচন্দ্রের দেখা ব্রহ্মদৈত্য
অবনীন্দ্রনাথের রোগমুক্তি
সৌরীন্দ্রমোহনের স্বপ্ন
উপেন্দ্রনাথ বর্ণিত ভৌতিক কাহিনী
অসমঞ্জের দেখা ভূতে ধরা ঘটনা
প্রেমাঙ্কুর বর্ণিত ভৌতিক উপদ্রব
রামপদ ও বিভূতিভূষণের ভূতে বিশ্বাস
প্রেততত্ত্ববিদ বিভূতিভূষণ
পরলোকতত্ত্ব চর্চায় অচিন্ত্যকুমার
পরলোকবাদী সজনীকান্ত
উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘ভূতদেখা’
বঙ্কিম সংগ্রহশালায় বসে শোনা একটি কাহিনী
অধ্যাপক সনাতন গোস্বামীর বলা দুটি ভৌতিক কাহিনী
সংযোজন
বঙ্কিমচন্দ্রদের গৃহদেবতা রাধাবল্লভ
বঙ্কিমচন্দ্রের পিতার পুনর্জীবন লাভ
যাদবচন্দ্রের গৃহে লক্ষ্মীর আগমন
সঞ্জীবচন্দ্রের পৌত্রবধূর পুনর্জীবন লাভ
নবীনচন্দ্রের বর্ণিত “অলৌকিক কার্য”
রসিকমোহনের দেখা সাধুর অলৌকিক ক্ষমতা
কিরণচাঁদের অলৌকিক ক্ষমতা
করুণানিধানের দৈব কৃপালাভ
রামপদর তন্দ্রাবস্থায় অলৌকিক দর্শন
রবীন্দ্রনাথ সেনের বর্ণিত অলৌকিক ঘটনা
ক্ষিরোদপ্রসাদের “অলৌকিক রহস্য”
জাতিস্মর সুরেন্দ্রনাথ
ধূর্জটিপ্রসাদের টিপুদার স্বপ্ন
অলৌকিক বিশ্বাসী রবীন্দ্রনাথ
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা বাস্তব ভুতের গল্প সংগ্রহ- 'ভৌতিক ও অলৌকিক কাহিনী গোপালচন্দ্র রায়' বই-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ভৌতিক ও অলৌকিক কাহিনী
লেখক- গোপালচন্দ্র রায়
বইয়ের ধরন- ভুতের গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৬১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
গ্রন্থকারের নিবেদন-
মানুষ মরে গিয়ে আবার দেখা দিলে, আমরা সাধারণত তাকেই ভূত বলি। কিন্তু এই ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে যে মতভেদ, তা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই আবহমানকাল থেকেই চলে আসছে। একদল বলেন- ভূত আছে। অপর দল বলেন— ভূত নেই।
যাঁরা ভূত বিশ্বাস করেন না, তারা ভূত বিশ্বাসীদের বলেন—ও আপনাদের রজ্জুতে সর্পভ্রম। আপনারা অন্য কিছু দেখে, তাকেই ভুলবশতঃ ভূত বলে থাকেন। ভূত বিশ্বাসীরা বা ভূত প্রত্যক্ষকারীরা, ভূত দেখার ব্যাপারে সকলেরই যে সর্বত্রই দৃষ্টিভ্রম হয়, একথা স্বীকার করেন না। তারা বলেন— ভয়ে কারও কারও দৃষ্টিভ্রম হতে পারে সত্য, কিন্তু তাই বলে সকল ক্ষেত্রেই যে হয়, তা মোটেই নয়। তারা সজ্ঞানে ও সুস্পষ্টভাবেই ভূত দেখেছেন এবং নানাভাবে ভূতের পরিচয়ও পেয়েছেন।
তারা আরও বলে থাকেন, মানুষ মৃত্যুর পরে দেখা না দিলেও, পরলোকে তার অশরীরী আত্মার যে অস্তিত্ব থাকে এবং ইচ্ছা করলে সেই আত্মা কাউকে অবলম্বন করে এই মর্ত্যে যে নেমে আসতেও পারে, তারও প্রমাণ তারা দেখেছেন। পাশ্চাত্য দেশের জজ ডবলিউ এড়মন্ড, জেমস বার্ণস, অলিভার লজ প্রমুখ পরলোকতত্ত্ববিরা পরলোকতত্ত্ব সম্বন্ধে প্রচুর আলোচনা করে এইটাই দেখিয়েছেন যে, মানুষের মৃত্যুর পর তার আত্মাকে প্ল্যানচেট প্রভৃতির সাহায্যে আনা যায় এবং তার সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদানও করা যায়।
আমাদের দেশের পরলোকতত্ত্ববিদরাও এই প্ল্যানচেট প্রভৃতির সাহায্যে এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণও দেখিয়েছেন। আমাদের দেশের শুধুপরলোকতত্ত্ববিদরা কেন, আমাদের দেশের সাধুসন্তরাও এই পারলৌকিক আত্মাকে যেমন নিজেরা দেখেছেন, অপরকেও তেমনি দেখিয়েছেন। যেমন— ১. বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বৃন্দাবনে থাকার সময় একদিন হঠাৎ আকাশের দিকে
চেয়েই তার শিষ্যদের বলে উঠেছিলেন ওই দেখ, এইমাত্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মহাপ্রয়াণ হয়ে গেল। আমি তাকে শুন্যে চলে যেতে দেখতে পাচ্ছি। গোস্বামী মহাশয়ের শিষ্যবর্গ পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলেন, ওইদিন ঠিক ওই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় পরলোকগমন করেন। ২. ভোলা গিরি হরিদ্বারে বিখ্যাত গণিতজ্ঞ সোমেশ বসুর মৃত স্ত্রীর আত্মাকে আনিয়ে এবং পাশাপাশি আসনে সোমেশবাবু ও তার স্ত্রীর আত্মাকে পূর্ব দেহ ধারণ করিয়ে বসিয়ে, সোমেশবাবুকে সস্ত্রীক দীক্ষা দিয়েছিলেন। ৩. স্বামী বিবেকানন্দ এক ভুতের অনুরোধে তাকে উদ্ধার করবার জন্য তার পিন্ড
দিয়েছিলেন। ইত্যাদি।
প্রিয় পাঠকগণ, এছাড়া আপনারা এই ব্লগ হইতে আরো ভুতের গল্পের বই সংগ্রহ করতে পারবেন-
*দেশি ভূতের গল্প- অশরীরীদের বাংলা গল্প সংগ্রহ বই
*বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভূতের গল্প
*১০০ ভূতের ১০০ বাড়ি
*ভূতেরা সব এইখানে
*ভৌতিক সমগ্র - হেমেন্দ্রকুমার রায়
*ভৌতিক অমনিবাস- পার্থ চট্টোপাধ্যায়
*ভৌতিক অমনিবাস - মানবেন্দ্ৰ পাল
*ভৌতিক গল্প সংকলন
*দেশ বিদেশের ভুতুড়ে বাড়ি- শুভদেব চক্রবর্তী
*ভৌতিক মজার মজার গল্প
যাই হোক, পরলোকতত্ত্ব বা ভূতত্ত্ব নিয়ে লোকের মধ্যে মতভেদ থাকলেও, সকল সভ্যদেশেই কিন্তু ভূত ও পরলোক নিয়ে সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রচুর সাহিত্য সৃষ্টি হয়ে আসছে।
সংস্কৃত সাহিত্যে বৃহদারুণ্যক উপনিষদে বিদেহরাজ জনকের সভায় ব্রহ্মাজান আলোচনা কালে যে ভূতে-পাওয়ার গল্পটি আছে, সেইটিই বোধকরি আমাদের দেশের আদি ভৌতিক কাহিনী।
ব্রাহ্মণ গ্রন্থেও পিতৃপুরুষ নামে একশ্রেণির অশরীরী আত্মার কথা রয়েছে। অথর্ব বেদে 'ভূতের কাহিনীই নয়, ভূত ছাড়ানোর মন্ত্রও আছে। অর্বাচীন সংস্কৃত সাহিত্য এবং পালি প্রাকৃত সাহিত্যেও ভৌতিক কাহিনীর অভাব নাই। আর আধুনিক ভারতীয় ভাষাগুলির তো কথাই নাই। বাংলায় রবীন্দ্রনাথ, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রমথ চৌধুরী, মণীন্দ্রলাল বসু, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, ফণীন্দ্রনাথ পাল, হেমেন্দ্রকুমার রায়, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ সাহিত্যিকই বাংলা ভাষায় ভালো ভালো ভূতের গল্প রচনা করেছেন। এই সকল সাহিত্যিকদের সকলেই যে ভূত প্রত্যক্ষ করেছেন, তা নাও হতে পারে। এঁদের কেউ কেউ হয়ত নিছক গল্প রচনা হিসাবেই ভূতের গল্প লিখেছেন। কিন্তু এই বাংলা দেশেরই এমন বহু সাহিত্যিকের কথা আমি জানি, তারা ভূত বা পরলোক নিয়ে গল্প রচনা না করলেও, তারা ভূত প্রত্যক্ষ করেছেন এবং মৃত ব্যক্তির আত্মার নিকট হতে প্ল্যানচেট প্রভৃতির সাহায্যে 'অনেক প্রশ্নের উত্তর আদায় করেছেন।
বাংলার সাহিত্যরথীদের প্রত্যক্ষ করা বা বিশ্বাস করা ভৌতিক কাহিনীগুলি নিয়েই এই গ্রন্থটি রচনা করেছি।
বইটি অনেকদিন আগেই লিখে প্রকাশ করেছিলাম। তখন অল্প দিনের মধ্যে সব বই বিক্রিও হয়ে গিয়েছিল। তারপর অন্য লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এ বই আর ছাপা হয়নি। এখন প্রকাশকের আগ্রহে আবার ছাপা হল।
যে বাস্তব ভুতের অথবা অলৌকিক গল্পগুলি এই বইতে রয়েছে-
বঙ্কিমচন্দ্রের ভৌতিক অভিজ্ঞতা
নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী
রাজনারায়ণ বর্ণিত ভৌতিক কাহিনী
চক্রে দীনবন্ধু ও সঞ্জীবচন্দ্র
প্রেততত্ত্ববিদ প্যারীচাদ
শিশিরকুমারের ভূত দর্শন
দীনেশচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পিতামহের অপমৃত্যু
পরলোকতত্ত্ব চর্চায় রবীন্দ্রনাথ
ভূতের প্রতি নবীনচন্দ্রের ক্ষমা
করুণানিধানের মৃত আত্মীয়
শরৎচন্দ্রের পিতার দেখা ভূত
ক্ষিরোদপ্রসাদের ‘অলৌকিক রহস্য’
ব্রজেন্দ্রনাথ বর্ণিত ভৌতিক কাহিনী
কিশোরীচাঁদের জানা ভৌতিক কাহিনী
গিরিশচন্দ্রের দেখা ব্রহ্মদৈত্য
অবনীন্দ্রনাথের রোগমুক্তি
সৌরীন্দ্রমোহনের স্বপ্ন
উপেন্দ্রনাথ বর্ণিত ভৌতিক কাহিনী
অসমঞ্জের দেখা ভূতে ধরা ঘটনা
প্রেমাঙ্কুর বর্ণিত ভৌতিক উপদ্রব
রামপদ ও বিভূতিভূষণের ভূতে বিশ্বাস
প্রেততত্ত্ববিদ বিভূতিভূষণ
পরলোকতত্ত্ব চর্চায় অচিন্ত্যকুমার
পরলোকবাদী সজনীকান্ত
উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘ভূতদেখা’
বঙ্কিম সংগ্রহশালায় বসে শোনা একটি কাহিনী
অধ্যাপক সনাতন গোস্বামীর বলা দুটি ভৌতিক কাহিনী
সংযোজন
বঙ্কিমচন্দ্রদের গৃহদেবতা রাধাবল্লভ
বঙ্কিমচন্দ্রের পিতার পুনর্জীবন লাভ
যাদবচন্দ্রের গৃহে লক্ষ্মীর আগমন
সঞ্জীবচন্দ্রের পৌত্রবধূর পুনর্জীবন লাভ
নবীনচন্দ্রের বর্ণিত “অলৌকিক কার্য”
রসিকমোহনের দেখা সাধুর অলৌকিক ক্ষমতা
কিরণচাঁদের অলৌকিক ক্ষমতা
করুণানিধানের দৈব কৃপালাভ
রামপদর তন্দ্রাবস্থায় অলৌকিক দর্শন
রবীন্দ্রনাথ সেনের বর্ণিত অলৌকিক ঘটনা
ক্ষিরোদপ্রসাদের “অলৌকিক রহস্য”
জাতিস্মর সুরেন্দ্রনাথ
ধূর্জটিপ্রসাদের টিপুদার স্বপ্ন
অলৌকিক বিশ্বাসী রবীন্দ্রনাথ
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা বাস্তব ভুতের গল্প সংগ্রহ- 'ভৌতিক ও অলৌকিক কাহিনী গোপালচন্দ্র রায়' বই-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment