ওড়িয়া গল্পমালা- বাংলা অনুবাদ গল্পের বই - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Friday, April 5, 2019

ওড়িয়া গল্পমালা- বাংলা অনুবাদ গল্পের বই


ওড়িয়া গল্পমালা- বাংলা অনুবাদ গল্পের বই
 ডিজিটাল বইয়ের নাম- ওড়িয়া গল্পমালা
লেখক- বিশিষ্ট ওড়িয়া লেখকগণ
অনুবাদক- তাপসকুমার চক্রবর্তী
বইয়ের ধরন-  অনুবাদিত ছোটগল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১১০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৫এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত

অনুবাদকের কথা-
২০০১ সালে ‘সেরা ওড়িয়া গল্প’ ও ২০০২ সালে 'একগুচ্ছ ওড়িয়া গল্প’ ‘আজকাল'-এর সৌজন্যে ও মহানুভবতার কারণে এই দুটি বাংলায় অনূদিত ওড়িয়া গল্পের সঙ্কলনের মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু ওড়িয়া গাল্পিককে বাংলার পাঠক-পাঠিকার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং সেই সঙ্গে বেশ কিছু ওড়িয়া গল্পও বাংলার পাঠক-পাঠিকাদের কাছে পরিবেশন করতে পেরেছিলাম। আজকাল'-এর সৌজন্যে এই সুযোগ আমাদের জন্য উন্মুক্তই রয়েছে যদি অবশ্য আমরা সে-সুযযাগের সদ্ব্যবহার করতে পারি। একথা বলার কারণ ২০০৩ সালটি বন্ধ্যা গেছে— আমরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারিনি। এই না করতে পারার মধ্যে 'আজকাল’ বা ‘ভুবনেশ্বর পুস্তক মেলা কমিটি' কারুরই কোনও দায়িত্ব নেই। তারা সব রকমেই প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু এই অধীন, যার দায়িত্ব পাণ্ডুলিপিটি প্রস্তুত করা, সেই-ই একান্ত ব্যক্তিগত পারেনি যার ফলে ২০০৩ সালটি অফলাই থেকে গেল। এবারও, ২০০৪ সালও, সেই একই কারণে, প্রায় অফলাই থেকে যাচ্ছিল, কিন্তু আজকাল'-এরই আগ্রহাতিশয্যে এই সঙ্কলনটির পাণ্ডুলিপি বহু কষ্টে প্রস্তুত করা গেছে। এই অসুবিধার কারণে এবারের সঙ্কলনটির কলেবরও অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ হয়েছে।
কিন্তু এখানে আমরা 'আজকাল’-কে বিশেষ করে সম্পাদক অশোকবাবুকে আলাদাভাবে বিশেষ কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে পারছি না, কারণ শুধু যে তিনি তার প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করে চলেছেন তাই নয়, আমরা যখন পিছিয়ে এসেছি তিনিই তখন আমাদের একরকম বাধ্য করেছেন কার্যটি করতে। বাধ্য বলছি এই জন্য যে এতখানি আগ্রহ প্রকাশ করার পর আমাদের আর এটা না করে উপায় ছিল না। সত্যিই আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। শুধু ক্ষীণতর কলেবরের জন্যই এবারের সঙ্কলনটি আগের দুটির থেকে পৃথক তাই নয়। আরও যে দিক দিয়ে এটা পৃথক তা হচ্ছে লেখক চয়ন। যদিও আমরা সব ওড়িয়া গাল্পিককে যাঁরা ওড়িয়া ক্ষুদ্র গল্পকে ঋদ্ধিমন্ত করেছেন, বিশেষ করে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে, তাঁদের সবাইকে এখনও উপস্থাপিত করতে পারিনি
তবুও সামগ্রিকভাবে ওড়িয়া ক্ষুদ্র গল্পকে একটি অতি শক্তিশালী সাহিত্য মাধ্যমে পরিণত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এমন অনেককেই উপস্থাপিত করেছি। এবং তা ঐতিহাসিক সময়ের বিভিন্ন বিভাজনকে মনে রেখেই করা হয়েছে। যাতে করে বাংলার পাঠক-পাঠিকারা ওড়িয়া ক্ষুদ্র গল্পের বিবর্তন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারেন। কিন্তু প্রতিবারই তা করতে গেলে নতুন প্রজন্মকে আর আনাই যায় না কারণ একটা সঙ্কলনে আর কত জায়গা? তাছাড়া কাকে ছেড়ে কাকের সমস্যা তো আছেই। তাই এবার, যদিও সঙ্কলনটি ক্ষুদ্রায়তন, তারই মধ্যে কিছু নতুন প্রজন্মের লেখকের জন্য স্বতন্ত্রভাবে জায়গা করা হয়েছে। বলা যেতে পারে সংরক্ষণের নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
নতুন প্রজন্মকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও পুরাতনকে বাদ দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে তা করাও যায় না কারণ পুরাতনের জীবনী শক্তিই নতুনকে সম্ভব করে। সুতরাং যিনি সবচেয়ে পুরাতন, সেই ফকির মোহন থেকেই শুরু করা হয়েছে। সেই ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে যে ‘রেবতী’ গল্পের হাত ধরে ওড়িয়া ক্ষুদ্র গল্প তার যাত্রা আরম্ভ করে আজ এত সমৃদ্ধ হয়েছে সেই ‘রেবতী’র স্রষ্টা ফকির মোহনকে তো স্মরণে রাখতেই হয়। ফকির মোহন কেবল প্রথম ক্ষুদ্র গল্প লিখেছিলেন তাই নয়, তিনি এই গল্পের মাধ্যমে ওড়িয়া গদ্যের যে পৃথিবীর যে-কোনও ভাষার গদ্যের সমতুল শক্তি ও সম্ভাবনা আছে এটা প্রমাণ করেছিলেন এবং ক্ষুদ্র গল্প যে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সাহিত্যরূপ হতে পারে তাও প্রমাণ করেছিলেন। এই দুটি কাজ করে তিনি ওড়িয়া গদ্য সাহিত্য তথা ক্ষুদ্র গল্পের দ্বারোদ্ঘাটন করে দিয়েছিলেন বলে বলা যেতে পারে।
বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন ফকির মোহন শুধু যে এটুকুই করেছিলেন তাই নয়। আরও অনেক কিছু করেছিলেন যার মধ্যে একটি আমাদের জন্য একান্ত প্রাসঙ্গি ক। সেটা হচ্ছে চিস্তন করার ধরনে একটা বিরাট পরিবর্তন। যে-কোনও চিন্মর মধ্যে কিছুটা আবেগ, কিছুটা মননশীলতা থাকেই, বিশেষ করে সাহিত্যিক চিন্তায়। সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে যেহেতু এ দুটির পরস্পর বিরোধী হয়ে পড়ার সম্ভাবনা সর্বদা বিদ্যমান, এবং তাহলেই একটি আর একটির স্থানাধিকার করে নিতে পারে অতএব এ দুটিকে স্থান, কাল, পাত্র ও উদ্দেশ্যের নিরিখে একটা সমন্বয়ে
এনে রাখতে হবে। কিন্তু ফকির মোহন যে ধরনের চিন্তা করেছেন ও করতে বলেছেন সেটা সমন্বয় নয়, সংযম। অর্থাৎ আবেগকে পুরোপুরি আবেগ হতে দিয়ে প্রগলভতা বা বাচালতায় পরিণত হতে না দেওয়া এবং মননশীলতাকে পুরোপুরি মননশীল হতে দিয়ে তাকে শুষ্ক তার্কিকতা বা কচকচি হতে না দেওয়া। এই দুটি ধরন সমন্বয় ও সংযম- এদের মধ্যে তফাতটা কিন্তু মৌলিক কারণ সমন্বয় যদি হয় পরিমাণগত, তাহলে সংযম গুণগত। ওড়িশার চিন্তা জগতে ফকির মোহনের এটি একটি প্রাচ্ছন্ন অবদান যার তাৎপর্য অসীম। পরবর্তী কালের ওড়িয়া গদ্য লেখকেরা এর দ্বারা এত প্রভাবিত হয়েছেন যার জন্য বিষয়টি এখানে আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে।
ফকির মোহনের এই প্রভাবকে উপলব্ধি করে তাকে বিশেষ করে ক্ষুদ্র গল্পের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে ক্ষুদ্র গল্পের শৈল্পিক গুণকে বর্ধিত করার কাজ পরবর্তী কালে অনেকেই করেছেন যেমন গোপীনাথ মহান্তি, সুরেন্দ্র মহান্তি, রবি পট্টনায়ক, অখিল মোহন পট্টনায়ক, মনোজ দাস প্রভৃতি। এঁদের প্রত্যেকের গল্পই আমরা আগের দুটি সঙ্কলনে উপস্থাপিত করেছিলাম এবং বর্তমান সঙ্কলনে গোপীনাথ মহান্তি, সাতকড়ি হোতা এবং মনোজ দাসকে রাখা হয়েছে। এরই সঙ্গে সমান্তরালভাবে বেড়েছিল অন্য একটি ধারা যেটা তিরিশ এবং চল্লিশের দশকে বিশেষভাবে বৃদ্ধিলাভ করেছিল। বিশেষ করে পদ্য সাহিত্যের ক্ষেত্রে এবং যাকে সবুজ যুগ বলে বলা হয়। এই যুগের প্রভাব ক্ষুদ্র গল্পেও পড়ে এবং স্বাধীনতা উত্তর-সময়েও এর প্রভাব অব্যাহত ছিল। সেই সময়ে রাজকিশোর রায়, রাজকিশোর পট্টনায়ক, বসন্ত কুমারী পট্টনায়ক প্রভৃতি বেশ কয়েকজন কৃতী গাল্লিককে দেখা যায়। তাদেরই মধ্যে একজন বামাচরণ মিত্র যাকে আগের দুটি সঙ্কলনে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। এই সঙ্কলনে তাকে তাই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই দুটি ধারার কিছু পরেই আসে আর একটি প্রজন্ম যেখানে সংযমের ধারা আবার প্রাধান্য লাভ করে। এই দলেই আসেন বিভূতি পট্টনায়ক, বরেন্দ্রকৃষ্ণ ধল, দাশ বেনহুর, উত্তমকুমার নায়ক প্রভৃতি। এই সঙ্কলনে বিভূতি পট্টনায়ক এবং বরেন্দ্রকৃষ্ণ ধলের গল্প দুটি সংযমের ধারার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এঁদেরই পরে পরে আসে যাকে এই ভূমিকায় নতুন প্রজন্ম’ বলা হয়েছে। বলা যেতে পারে উত্তরসূরি। সংযমের ধারাটি এঁদের কাছে যেন আর একটা বাঞ্ছনীয় শৈল্পিক রীতি হয়ে নেই। সেটা অবশ্য পালনীয় সাহিত্যরীতি হয়ে গেছে। গৌরহরি দাস, অনিল কুমার দাস, পারমিতা শতপথি এবং ক্ষীরোদ দাস এই চারজনের চারটি গল্প এই সঙ্কলনে নেওয়া হয়েছে এবং বাংলার পাঠক-পাঠিকারা এঁদের মূল্যায়ন নিশ্চয়ই করবেন।
এই লেখকদের নির্বাচন সম্পর্কে একটি কথা। ভুবনেশ্বর পুস্তক মেলা কমিটি অন্যান্য অনেক পুরস্কারের মধ্যে একটি পুরস্কার দেয় সেই বছরে প্রকাশিত শ্রেষ্ঠ। ক্ষুদ্র গল্পকে (অবশ্যই কমিটির বিচারে)। যে চারটি গল্প এই সঙ্কলনে নেওয়া হয়েছে এগুলি সবই বিভিন্ন বছরে পুরস্কৃত। এর দ্বারা, আমরা মনে করি, আরও একটা ভাল কাজ হল বাংলার পাঠক-পাঠিকাকে অতি সাম্প্রতিক ওড়িয়া গল্পের স্বাদ দেওয়া সম্ভব হল।
আশা করি এই সঙ্কলনটিও আগের দুটির মতোই আদৃত হবে। ইতি- তাপসকুমার চক্রবর্তী

যেসমস্ত বাছাই করা বাংলা অনুবাদিত ওড়িয়া ছোটগল্পগুলি এই বইতে রয়েছে, সেগুলি হল-
পেটেন্ট মেডিসিন- ফকির মোহন সেনাপতি
শরশয্যা- গোপীনাথ মহান্তি
ধর্মক্ষেত্র- বামাচরণ মিত্র
চিঠি- সাতকড়ি হোতা
লক্ষ্মীর অভিসার- মনোজ দাস
রাজকন্যার দুঃখ- বিভূতি পট্টনায়ক
ঢুলি- বরেন্দ্রকৃষ্ণ ধল
অনাবৃত দেহ- দাশ বেনহুর
নেপথ্যশব শোভাযাত্রা- উত্তম কুমার নায়ক
বাবা- গৌরহরি দাস
শূন্য কুঠুরির ঠিকানা- অনিল কুমার দাস
বিরল রূপক- পারমিতা শতপথি
মায়ের সংসার- ক্ষীরোদ দাস


ওড়িয়া গল্পমালা

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা বিশিষ্ট ওড়িয়া লেখকগণের লেখা বাংলা অনুবাদিত গল্প সংকলন বই - 'ওড়িয়া গল্পমালা' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment