বিয়ের শব্দকোষ-হরিপদ ভৌমিক বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- বিয়ের শব্দকোষ
লেখক- হরিপদ ভৌমিক
বইয়ের ধরণ- তথ্যমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১২এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
দায়গ্রস্থ ভূমিকা-
‘কুমারী নিজের সঙ্গী বেছে নেয়’— এ ভাবে বিয়ের প্রথম উল্লেখ করা হয়েছে ঋগ্বেদে (১০/২৭/১২)। শুধু নারী নয়, সেকালে পুরুষও তার সঙ্গী বেছে নিতে পারতেন। তখন বর-বধূর কাছে স্বাধীন নির্বাচনের রাস্তা খোলা ছিল। মনুর যুগে যাত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব এসে পড়ে গুরুর হাতে।
‘গুরুণানুমতঃ স্নাত্বা সমাবৃত্তো যথাবিধি। উদ্বহে দ্বিজো ভার্যাং সবর্ণাং লক্ষণান্বিতাম্।
মনুসংহিতা ৩/৪ গুরুর অনুমতিতে দ্বিজ স্নান করে যথাবিধি সমাবর্তন করে সুলক্ষণযুক্ত সবর্ণ কন্যাকে বিবাহ করবে।
এখানে সবর্ণ' শব্দটির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মনুর সময় বর্ণ অনুযায়ী বিবাহকে আট ভাগে ভাগ করা হয়েছিল- ব্রাহ্ম, দৈব, আর্য, প্রাজাপত্য, আসুর, গান্ধর্ব, রাক্ষস ও পৈশাচ। ব্রাহ্ম’ বিয়ের কথায় মনুর (৩/২৭) মত- “বিদ্বান ও চরিত্রবান ব্যক্তিকে নিজে আহ্বান করে, তাকে বস্ত্রাদি দ্বারা আচ্ছাদিত করে ও সম্মানিত করে কন্যাদানকে ব্রাহ্ম বিবাহ বলা হয়। এবং ব্রাহ্ম বিধিতে বিবাহিতা স্ত্রীর পুণ্যবান পুত্র ঊর্ধ্বতন দশ, অধস্তন দশ পুরুষ ও নিজেকে-সহ এই একুশ পুরুষকে পাপমুক্ত করে।
‘দৈব’ বিবাহ হল, যজ্ঞারম্ভকালে যজ্ঞ-কর্মরত পুরোহিতের নিকট অলংকৃতা কন্যার উপযুক্ত রূপে দানকে দৈব বিবাহ বলে’ (৩/২৮)। এবং দৈব বিধিতে বিবাহিতা স্ত্রীর পুণ্যবান পুত্র ঊধ্বর্তন সাত, অধস্তন সাত পুরুষকে পাপমুক্ত করে। (মনু ৩/৩৮]।
আট রকম বিয়ের মধ্যে ব্রাহ্ম, দৈব ও আর্ষ এই তিনটিকে ধর্মসম্মত (৩/২৫) বলা হয়েছে। এবং প্রাজাপত্য, গান্ধর্ব ও রাক্ষস তিনটিকে 'অধর্মীয়’ বলে মন্তব্য করা রয়েছে। 'তোমরা দুইজনে একত্র হয়ে ধর্মাচরণ করো’- এই বলে বরকে অর্চনা করে তাকে কন্যাদান প্রাজাপত্য বিবাহ নামে কথিত। আর প্রাজাপত্যবিধিতে বিবাহিতা স্ত্রীর পুত্র ছয় ছয় পুরুষকে পাপমুক্ত করে।
কন্যা ও বরের ইচ্ছানুসারে পরস্পর মিলন গান্ধর্ব নামে জ্ঞেয়, এই বিবাহ। কামবশে মৈথুনেচ্ছায় ঘটে’ (৩/৩২) আর ]বিরুদ্ধ কন্যাপক্ষীয় ব্যক্তিগণকে হত্যা বা আঘাত করে, তাদের অঙ্গচ্ছেদ করে এবং (প্রাচীরাদি) ভেদ করে চিৎকার ও রোদনকারিণী কন্যার বলপূর্বক হরণ রাক্ষস বিবাহ নামে কথিত’ (৩/৩৩)।
মনু তাঁর সংহিতা (৩/২৫) পৈশাচশ্চাসুরবে ন কর্তব্যৌ কদাচন’– পৈশাচ ও আসুর বিবাহ কখনও করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন। '(কন্যার পিত্রাদি) জ্ঞাতিদের এবং কন্যাকে যথাশক্তি ধন দিয়ে স্বেচ্ছানুসারে কন্যা গ্রহণ আসুর বিবাহ' (৩/৩১) আর ‘নিদ্রিতা, মদ্যপানে বিহুলা বা প্রমত্তা (চরিত্ররক্ষণে অক্ষমা)। কন্যাকে নির্জনে সম্ভোগ করলে সর্বাধিক পাপজনক ও নিকৃষ্টতম অষ্টম প্রকার বিবাহ পৈশাচ নামে কথিত হয়’ (৩/৩৪)।
ধর্মসম্মত, অধর্মীয় এবং নিন্দিত মত বলে তিনটি ধারায় বিয়েকে ভাগ করা হয়েছিল। আর্য এবং প্রাগার্য ঐতিহ্য মিলে বিয়ের আচার একটি অন্যরূপ পেয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে বাংলার প্রতিটি অঞ্চলের বিয়ে নিয়ে নানান আঞ্চলিক লোকাচার তৈরি হয়েছে। সবর্ণ যখন ভেঙে গেল, তখন বৈদিক রীতির সঙ্গে লৌকিক লোকাচার মিশে একটি নূতন রূপ পেতে শুরু করল, সেই ইতিহাস কখনও লেখা হয়নি। প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠানেই একটি করে নাম আছে। হারিয়ে গেছে প্রচুর অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠানের সঙ্গে অনুষ্ঠানের নামও হারিয়ে গেছে অনেক।
বিষয় ধরে শব্দকোষ তৈরি করা শুরু করি ‘লোকসংস্কৃতি গবেষণা পত্রিকার সম্পাদক সনৎকুমার মিত্রের উৎসাহে। ২০০২ সালের এপ্রিল-জুন সংখ্যায় ‘জল’ বিষয়ে প্রথম শব্দকোষ। তার পর অনেকগুলি শব্দকোষই লেখা হয়। বিবাহ বিশেষ সংখ্যা করার কথা ছিল, সেই সংখ্যার জন্য শব্দকোষ তৈরি শুরু করি, কিন্তু বিষয়টি পরিবর্তিত হওয়ায়, লেখাটি আর ছাপা হয়নি। অধীর বিশ্বাস মহাশয়ের আগ্রহে বই হিসেবে বিয়ের শব্দকোষটি প্রকাশের ব্যবস্থা হল।
পত্রিকার পাতায় ছাপা হবে, সেই মতো শব্দকোষটি তৈরি। যখন বই-এর কথা বলা হল, তখন যা সহজ মনে হয়েছিল কাজ শেষ করার ভাবনায় কাজ শুরু করতে গিয়ে বুঝলাম তথ্যের মহাসমুদ্রে পড়ে গিয়েছি। সেই তথ্যকে সংগ্রহ করে, তাকে আলাদা শব্দে গুছিয়ে নিয়ে তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। মনের কথাটি প্রকাশককে জানালে প্রকাশনার তরফে তিনি সময় দিতে রাজি হলেন না। বললেন, ‘বাংলা ভাষায় বিয়ের শব্দকোষ এই প্রথম। প্রথম কাজেই সবটা শেষ করা যাবে এ ভাবনাটাই ভুল। বইটি বেরুচ্ছে, বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়ে গেছে। যতটা কাজ হয়েছে তা দিয়েই বইমেলায় বইটি বেরুবে— পরে নতুন তথ্য সংযোজন করা যাবে।
প্রকাশকের ইচ্ছের কাছে হার মানতে হল। এখন মনে হচ্ছে, বিয়ের শাস্ত্রীয়-লৌকিক বিপুল শব্দভাণ্ডারের মধ্যে অল্পসংখ্যক শব্দ দিয়েই বিয়ের শব্দকোষের সূচনা করা হল মাত্র। বিয়ের নিয়মের অনেক কথা পেয়েছি আমার মাতৃদেবী শ্রীমতী বিভারানী ভৌমিকের কাছ থেকে। প্রকাশকের দাবির কারণে ছেলের বিয়ের ব্যস্ততার মধ্যেও কাজটি করে উঠতে পারব কি না, বুঝে উঠতে পারিনি। প্রকাশকের তরফে অধীরদা শুধু বলেছেন, আপনার এক দিকে পুত্রের বিয়ে অন্য দিকে এই বিয়ের শব্দকোষ, । জানবেন আমাদেরও কন্যাদায়। দুটো কাজই উদ্ধার করতে হবে। তার আন্তরিক ইচ্ছেতেই এই বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হল।
গ্রন্থ প্রকাশে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তার হলেন সনৎকুমার মিত্র, অশোক উপাধ্যায়, শৈলেন্দ্রচন্দ্র দত্ত, বিমলকুমার মুখোপাধ্যায় ও নেপালচন্দ্র দাস মহাশয়।- - হরিপদ ভৌমিক
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা বিবাহ ও সেই সম্পর্কিত যতধরনের রীতি শব্দ আছে সেগুলোর সংকলন বই বিশেষ তথ্যমুলক বই 'বিয়ের শব্দকোষ-হরিপদ ভৌমিক' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- বিয়ের শব্দকোষ
লেখক- হরিপদ ভৌমিক
বইয়ের ধরণ- তথ্যমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১২এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
দায়গ্রস্থ ভূমিকা-
‘কুমারী নিজের সঙ্গী বেছে নেয়’— এ ভাবে বিয়ের প্রথম উল্লেখ করা হয়েছে ঋগ্বেদে (১০/২৭/১২)। শুধু নারী নয়, সেকালে পুরুষও তার সঙ্গী বেছে নিতে পারতেন। তখন বর-বধূর কাছে স্বাধীন নির্বাচনের রাস্তা খোলা ছিল। মনুর যুগে যাত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব এসে পড়ে গুরুর হাতে।
‘গুরুণানুমতঃ স্নাত্বা সমাবৃত্তো যথাবিধি। উদ্বহে দ্বিজো ভার্যাং সবর্ণাং লক্ষণান্বিতাম্।
মনুসংহিতা ৩/৪ গুরুর অনুমতিতে দ্বিজ স্নান করে যথাবিধি সমাবর্তন করে সুলক্ষণযুক্ত সবর্ণ কন্যাকে বিবাহ করবে।
এখানে সবর্ণ' শব্দটির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মনুর সময় বর্ণ অনুযায়ী বিবাহকে আট ভাগে ভাগ করা হয়েছিল- ব্রাহ্ম, দৈব, আর্য, প্রাজাপত্য, আসুর, গান্ধর্ব, রাক্ষস ও পৈশাচ। ব্রাহ্ম’ বিয়ের কথায় মনুর (৩/২৭) মত- “বিদ্বান ও চরিত্রবান ব্যক্তিকে নিজে আহ্বান করে, তাকে বস্ত্রাদি দ্বারা আচ্ছাদিত করে ও সম্মানিত করে কন্যাদানকে ব্রাহ্ম বিবাহ বলা হয়। এবং ব্রাহ্ম বিধিতে বিবাহিতা স্ত্রীর পুণ্যবান পুত্র ঊর্ধ্বতন দশ, অধস্তন দশ পুরুষ ও নিজেকে-সহ এই একুশ পুরুষকে পাপমুক্ত করে।
‘দৈব’ বিবাহ হল, যজ্ঞারম্ভকালে যজ্ঞ-কর্মরত পুরোহিতের নিকট অলংকৃতা কন্যার উপযুক্ত রূপে দানকে দৈব বিবাহ বলে’ (৩/২৮)। এবং দৈব বিধিতে বিবাহিতা স্ত্রীর পুণ্যবান পুত্র ঊধ্বর্তন সাত, অধস্তন সাত পুরুষকে পাপমুক্ত করে। (মনু ৩/৩৮]।
আট রকম বিয়ের মধ্যে ব্রাহ্ম, দৈব ও আর্ষ এই তিনটিকে ধর্মসম্মত (৩/২৫) বলা হয়েছে। এবং প্রাজাপত্য, গান্ধর্ব ও রাক্ষস তিনটিকে 'অধর্মীয়’ বলে মন্তব্য করা রয়েছে। 'তোমরা দুইজনে একত্র হয়ে ধর্মাচরণ করো’- এই বলে বরকে অর্চনা করে তাকে কন্যাদান প্রাজাপত্য বিবাহ নামে কথিত। আর প্রাজাপত্যবিধিতে বিবাহিতা স্ত্রীর পুত্র ছয় ছয় পুরুষকে পাপমুক্ত করে।
কন্যা ও বরের ইচ্ছানুসারে পরস্পর মিলন গান্ধর্ব নামে জ্ঞেয়, এই বিবাহ। কামবশে মৈথুনেচ্ছায় ঘটে’ (৩/৩২) আর ]বিরুদ্ধ কন্যাপক্ষীয় ব্যক্তিগণকে হত্যা বা আঘাত করে, তাদের অঙ্গচ্ছেদ করে এবং (প্রাচীরাদি) ভেদ করে চিৎকার ও রোদনকারিণী কন্যার বলপূর্বক হরণ রাক্ষস বিবাহ নামে কথিত’ (৩/৩৩)।
মনু তাঁর সংহিতা (৩/২৫) পৈশাচশ্চাসুরবে ন কর্তব্যৌ কদাচন’– পৈশাচ ও আসুর বিবাহ কখনও করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন। '(কন্যার পিত্রাদি) জ্ঞাতিদের এবং কন্যাকে যথাশক্তি ধন দিয়ে স্বেচ্ছানুসারে কন্যা গ্রহণ আসুর বিবাহ' (৩/৩১) আর ‘নিদ্রিতা, মদ্যপানে বিহুলা বা প্রমত্তা (চরিত্ররক্ষণে অক্ষমা)। কন্যাকে নির্জনে সম্ভোগ করলে সর্বাধিক পাপজনক ও নিকৃষ্টতম অষ্টম প্রকার বিবাহ পৈশাচ নামে কথিত হয়’ (৩/৩৪)।
ধর্মসম্মত, অধর্মীয় এবং নিন্দিত মত বলে তিনটি ধারায় বিয়েকে ভাগ করা হয়েছিল। আর্য এবং প্রাগার্য ঐতিহ্য মিলে বিয়ের আচার একটি অন্যরূপ পেয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে বাংলার প্রতিটি অঞ্চলের বিয়ে নিয়ে নানান আঞ্চলিক লোকাচার তৈরি হয়েছে। সবর্ণ যখন ভেঙে গেল, তখন বৈদিক রীতির সঙ্গে লৌকিক লোকাচার মিশে একটি নূতন রূপ পেতে শুরু করল, সেই ইতিহাস কখনও লেখা হয়নি। প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠানেই একটি করে নাম আছে। হারিয়ে গেছে প্রচুর অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠানের সঙ্গে অনুষ্ঠানের নামও হারিয়ে গেছে অনেক।
বিষয় ধরে শব্দকোষ তৈরি করা শুরু করি ‘লোকসংস্কৃতি গবেষণা পত্রিকার সম্পাদক সনৎকুমার মিত্রের উৎসাহে। ২০০২ সালের এপ্রিল-জুন সংখ্যায় ‘জল’ বিষয়ে প্রথম শব্দকোষ। তার পর অনেকগুলি শব্দকোষই লেখা হয়। বিবাহ বিশেষ সংখ্যা করার কথা ছিল, সেই সংখ্যার জন্য শব্দকোষ তৈরি শুরু করি, কিন্তু বিষয়টি পরিবর্তিত হওয়ায়, লেখাটি আর ছাপা হয়নি। অধীর বিশ্বাস মহাশয়ের আগ্রহে বই হিসেবে বিয়ের শব্দকোষটি প্রকাশের ব্যবস্থা হল।
পত্রিকার পাতায় ছাপা হবে, সেই মতো শব্দকোষটি তৈরি। যখন বই-এর কথা বলা হল, তখন যা সহজ মনে হয়েছিল কাজ শেষ করার ভাবনায় কাজ শুরু করতে গিয়ে বুঝলাম তথ্যের মহাসমুদ্রে পড়ে গিয়েছি। সেই তথ্যকে সংগ্রহ করে, তাকে আলাদা শব্দে গুছিয়ে নিয়ে তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। মনের কথাটি প্রকাশককে জানালে প্রকাশনার তরফে তিনি সময় দিতে রাজি হলেন না। বললেন, ‘বাংলা ভাষায় বিয়ের শব্দকোষ এই প্রথম। প্রথম কাজেই সবটা শেষ করা যাবে এ ভাবনাটাই ভুল। বইটি বেরুচ্ছে, বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়ে গেছে। যতটা কাজ হয়েছে তা দিয়েই বইমেলায় বইটি বেরুবে— পরে নতুন তথ্য সংযোজন করা যাবে।
প্রকাশকের ইচ্ছের কাছে হার মানতে হল। এখন মনে হচ্ছে, বিয়ের শাস্ত্রীয়-লৌকিক বিপুল শব্দভাণ্ডারের মধ্যে অল্পসংখ্যক শব্দ দিয়েই বিয়ের শব্দকোষের সূচনা করা হল মাত্র। বিয়ের নিয়মের অনেক কথা পেয়েছি আমার মাতৃদেবী শ্রীমতী বিভারানী ভৌমিকের কাছ থেকে। প্রকাশকের দাবির কারণে ছেলের বিয়ের ব্যস্ততার মধ্যেও কাজটি করে উঠতে পারব কি না, বুঝে উঠতে পারিনি। প্রকাশকের তরফে অধীরদা শুধু বলেছেন, আপনার এক দিকে পুত্রের বিয়ে অন্য দিকে এই বিয়ের শব্দকোষ, । জানবেন আমাদেরও কন্যাদায়। দুটো কাজই উদ্ধার করতে হবে। তার আন্তরিক ইচ্ছেতেই এই বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হল।
গ্রন্থ প্রকাশে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তার হলেন সনৎকুমার মিত্র, অশোক উপাধ্যায়, শৈলেন্দ্রচন্দ্র দত্ত, বিমলকুমার মুখোপাধ্যায় ও নেপালচন্দ্র দাস মহাশয়।- - হরিপদ ভৌমিক
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা বিবাহ ও সেই সম্পর্কিত যতধরনের রীতি শব্দ আছে সেগুলোর সংকলন বই বিশেষ তথ্যমুলক বই 'বিয়ের শব্দকোষ-হরিপদ ভৌমিক' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment