সমারসেট মমের বাছাই গল্প বাংলা অনুবাদ গল্পের বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- সমারসেট মমের বাছাই গল্পলেখক- উইলিয়াম সমারসেট মম্
অনুবাদক- দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- বাংলা অনুবাদ গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০২
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৬ এমবি
প্রিন্ট ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
বইটি সম্পর্কে অনুবাদকের কথা-
কিছু কিছু শব্দের অর্থ অভিধান দেখেও সঠিকভাবে সুস্পষ্ট হয় না। প্রেম বা ভালোবাসাকে অতি সহজেই এই পর্যায়ে ফেলা যেতে পারে। আসলে প্রেম এক আশ্চর্য অনুভূতি, দেহ ও মনের এক সুনিবিড় আর্তি যা ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্নৎপাতের মতো আচমকা সাড়া জাগিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে কোনো সুপরিকল্পিত জীবনের সমস্ত রুপরেখা। প্রেমকে কেউ বলেছেন ‘লাইফ ফোর্স', কেউ বা বলেছেন 'সুস্থ মনের সাময়িক উন্মত্ততা'। কিন্তু কোনো রকম জটিলতার মধ্যে না গিয়েও এ কথা নিদ্বিধায় বলা যেতে পারে যে শুধুমাত্র প্রেমকে অবলম্বন করে যুগে যুগে দেশে দেশে যতো অপরপে কাব্যকাহিনীর সষ্টি হয়েছে, তার সংখ্যাধিক্য সার্থক সাহিত্যের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে ঈর্ষনীয়।
না, প্রেমের সংজ্ঞা নির্ণয় করা কিংবা প্রেম সম্পর্কে কোনো বিতর্কমূলক আলোচনার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো গল্প-সঙ্কলনের মুখবন্ধ লেখা সম্ভবত নিরর্থক। তব, প্রসঙ্গটা স্পর্শ করে যাবার কারণ, এই সঙ্কলনের প্রতিটি গল্পই প্রেমের এবং হয়তো প্রতিটি কাহিনীই খানিকটা অস্বাভাবিক। আসলে প্রেমের গতি ভারি বিচিত্র—প্রেম লজ্জা-ভয়, ধর্ম-সংস্কার, নিষেধ-বিভেদ কিছুই মানে না এবং মমের লেখা অসংখ্য ছোটো গল্প বা উপন্যাসে আমরা বারবার তার অকপট প্রকাশ দেখতে পেয়েছি।
উইলিয়াম সমারসেট মমের জন্ম ১৮৭৪ সালে ফ্রান্সের পারী শহরে। শৈশবের দশটা বছর তাঁর ওই শহরেই কেটে গেছে। শিক্ষালাভ করেছেন ক্যান্টারবেরির কিংস স্কুল আর জামানীর হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর চিকিৎসক হবার বাসনায় কিছুদিন তিনি সেন্ট টমাস হাসপাতালেও পড়াশুনো করেন। কিন্তু ১৮৯৭ সালে প্রথম উপন্যাস 'লিজা অফ ল্যামবেথ’ প্রকাশিত হবার পর সাহিত্যকেই তিনি জীবনের অবলম্বন হিসেবে বেছে নেন। 'অফ হিউম্যান বন্ডেজ’, ‘দ্য মন অ্যান্ড দ্য সিক্স পেন্স' এবং আরও অনেক সফল গল্প-উপন্যাসের লেখক সমারসেট সাহিত্যের প্রতিটি শাখাতেই সব্যসাচীর মতো বিচরণ করেছেন। ইউরোপ থেকে লাতিন আমেরিকা, বার্মা-মালয় থেকে তাহিতি-নিউগিনি—সর্বত্র অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে ঘরে ঘরে তিনি অসংখ্য মানুষ দেখেছেন। তাই প্রেম, প্রতিহিংসা, ব্যভিচার, রিরংসা, বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মত্যাগ—সবই মূর্ত হয়ে উঠেছে তাঁর আশ্চর্য লেখনীতে। তাঁর জীবননিষ্ঠ রচনায় আমরা এমন অনেক চরিত্রের সন্ধান পাই যারা বাসনার তীব্র বিষে জর্জরিত, ব্যথায় বিধুর, হিংসায় উন্মাদ। মাঝে মাঝে এদের বিকৃত মানসিকতা আমাদের বিমূঢ় করে তোলে।
মমের গল্পে আমরা দেখতে পাই আধুনিক জন-জীবনের জটিল মানসিকতা, ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ত্বের কুটিল প্রভাব, প্রাচীন মূল্যবোধকে ধংস করে ফেলার দানবীয় প্রবত্তি অথচ বাস্তবকে পুরোপুরি মেনে নিতে না পারার নিদারুণ দুঃখবোধ।
মমের অধিকাংশ গল্পই চরিত্র প্রধান। কোনো বিশেষ চরিত্রের কোনো বিশেষ দিককে আলোকিত করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি গল্পের আয়োজন করেন, গড়ে তোলেন প্রয়োজনীয় পরিবেশ আর আকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির। তারপর একটু একটু করে ফুটে ওঠে তীক্ষ্ম শ্লেষের সুতীব্র ঝিলিক আর তারই বিচিত্র আভায় পাঠকের বিস্মিত দৃষ্টির সামনে স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে পরিচিত মানুষের অন্য এক নতুন পরিচয়—স্বাভাবিক পরিবেশে যা সচরাচর সাধারণের চোখে ধরা পড়ে না। সংস্কারমুক্ত নির্লিপ্ত ঋষির মতো নির্বিকার মন নিয়ে সমারসেট জীবনকে দেখেছেন। তাই কোনো ভুল বা অন্যায় করলেই কোনো মানুষকে তিনি ঘৃণ্যকীট বলে বর্জন করার পক্ষপাতী নন। দোষে গুনে মানুষের জীবন—তাই মোহান্ধ, অস্বাভাবিক, অস্থির, এমন কি ডি. এইচ. লরেন্সের ভাষায় অনেক morbid চরিত্রকেও তিনি শাশ্বত করে রেখেছেন তাঁর স্মরণীয় সাহিত্যে। এই সঙ্কলনের গল্পগুলি নিঃসন্দেহে এই উক্তির স্বপক্ষে সাক্ষ্য দেবে।- দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে বাংলা অনুবাদিত গল্পসংগ্রহ- 'সমারসেট মমের বাছাই গল্প' এই বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
'সমারসেট মমের বাছাই গল্প' বইটির গল্পগুলি অনুবাদ করেছেন বিশিষ্ট লেখক এবং অনুবাদক- দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
No comments:
Post a Comment