গ্রীকপুরাণ কথা-সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ দ্বারা অনুবাদিত পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Saturday, November 10, 2018

গ্রীকপুরাণ কথা-সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ দ্বারা অনুবাদিত পিডিএফ


গ্রীকপুরাণ কথা-সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ দ্বারা অনুবাদিত পিডিএফ

ডিজিটাল বইয়ের নাম- গ্রীকপুরাণ কথা
অনুবাদক- সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ
বইয়ের ধরন- বাংলা অনুবাদ পুরাণগল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৩৮৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪০ এমবি
প্রিন্ট ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
অনুবাদকের কথা-
ভারতীয় পুরাণের সঙ্গে গ্রীকপুরাণের পার্থক্য এই যে ভারতীয় পূরাণে শুধু দেবদেবীর জন্মবৃত্তান্ত, কীর্তিকলাপ ও মহিমা কীর্তিত হয়েছে, কিন্তু গ্রীকপুরাণে দেবদেবীদের জন্মবৃত্তান্ত ও বিচিত্র দৈব মহিমার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মর্তমানবমানবীর বীরত্বপূর্ণ কার্যাবলী ও জীবনকাহিনী কীর্তিত হয়েছে গ্রীকপুরাণে| দেবতা ও মানব, স্বর্গ ও মর্ত্য পারস্পরিক সীমারেখা হারিয়ে এক অখণ্ড পরিমণ্ডলে একাকার হয়ে এক বৃহত্তর জীবনাবর্তে আবর্তিত হয়েছে। গ্রীক পুরাণে তাই পৌরাণিক যুগের সমাজব্যবস্থার যেভাবে প্রতিফলন ঘটেছে ভারতীয় পুরণ তেমনভাবে হয়নি। ভারতীয় পুরাণে দেখি দেবদেবীরা মর্ত্যে আবির্ভূত হয়ে মর্ত্যলোকে তাদের পূজা প্রচলন ও মহিমা প্রচারের জন্য মুনিঋষি বা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হয়ে মানুষকে তাদের প্রয়োজনের উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করতেন। সেখানে মানুষের কোন স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারেনি। একমাত্র পদ্মপুরাণে দেখা যায় চাঁদ সওদাগরের অতুলনীয় পৌরুষ দৈববিধানের বিরুদ্ধে এক প্রতাক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে তার স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বকে এক বিরল দেবোপম মহিমায় উজ্জ্বল করে তুলে ধরেছে।
গ্রীকপুরাণের প্রথম দিকে দেবরাজ জিয়াস ও অন্যান্য দেবদেবীদের জন্মকথা, স্বরূপ ও চরিত্ৰমাহাত্ম বর্ণিত হয়েছে। পরে হাকিউলেস, পার্সিয়াস, থিসিয়াস, জেসন প্রভৃতি অসমসাহসিক বীরদের অসাধারণ পৌরুষ ও বীরত্বকাহিনী বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু গ্রীকপুরাণের যে আখ্যানভাগে অসংখ্য কাহিনীর মধ্যে মানবজীবনের যে কথা ও কাহিনী স্থান পেয়েছে সেই আখ্যানভাগটিকে অপরিহার্য নিয়তির বা দৈববিধানের এক অলঙ্ঘনীয় প্রভাব ব্যাপ্ত হয়ে আছে। তাই দেখা যায় মানুষ বাহুবলে ও বুদ্ধিবলে যত বীরত্বই অর্জন করুক না কেন দৈববলে বলীয়ান না হলে বা দৈব অনুগ্রহ লাভ করতে না পারলে সে চূড়ান্ত জয় ৰা সাফল্যের স্বর্ণমুকুট কখনই লাভ করতে পারবে না জীবনে। মানুষের জন্মকালে নিয়তিদেবীরা যেভাবে নবজাতকের জীবনসম্পর্কে একটি পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেন কোন মানুষই সেই পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে তার জীবনকে অন্য ভাবে গড়ে তুলতে পারেনি। শত চেষ্টাতেও ঈডিপাসের মত বীর, বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান পুরুষ নিয়তিনির্দিষ্ট অভিশপ্ত জীবন-পরিণতিকে পরিহার করতে পারেনি। যে অমোঘ অলক্ষ্য শক্তি মানুষের জীবনকে বিচিত্র ঘটনা ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এক অবশ্যম্ভাবী পরিণতির পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যায় সে শক্তিকে জয় করতে পারে না কোন মানুষ। তৎকালীন গ্রীক জীবনদর্শন প্রধানতঃ এই নিয়তিবাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং এই নিয়তিবাদ অসংখ্য মানবজীবনের গতিপ্রকৃতির মধ্য দিয়ে স্বীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রীকপুরাণের কাহিনীগুলির মধ্যে তৎকালীন সমাজব্যবস্থারও এক অভ্রান্ত প্রতিফলন পাওয়া যায়। সেকালের গ্রীকসমাজ ছিল পিতৃতান্ত্রিক এবং সে সমাজে পুরুষদের মধ্যে বহু বিবাহপ্রথা প্রচলিত ছিল। তবে বিধবা নারীদের পুনর্বিবাহের ব্যাপারে কোন সামাজিক সম্মতি ছিল না। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় হিন্দুনারীদের মত অনেক গ্রীক নারী বা প্রেমিকা স্বামী বা প্রেমিকের মৃত্যুতে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণত্যাগ করে তার অনুগামিনী হয়েছে। হিরো ও লেণ্ডারের মত প্রেমিক প্রেমিকাদের সহমৃত্যু তাদের প্রেমকে দান করেছে এক মৃত্যুঞ্জয়ী মহিমা। ফাইলেউসকন্যা ঈভাদনে স্বামীর জ্বলন্ত চিতায় প্রাণ বিসর্জন দেয়। তবে এ বিষয়ে কোন প্রথাগত কঠোরতা ছিল না। পেরিয়ারেসের বিধবা রাণী পার্সিয়াসকন্যা গর্গোফন আবার বিয়ে করে এবং অনেক সন্তানবতী বিধবা পরে দ্বিতীয়বার পতিগ্রহণ করলেও সমাজে ধিক্কৃত হতে হয়নি তাদের। এর দ্বারা বোঝা যায় হিন্দুসমাজের মত প্রাচীন গ্রীকসমাজ নারীদের বৈধব্যসম্পর্কে কোন কঠোর বিধিনিষেধ প্রবর্তনের পক্ষপাতী ছিল না।
গ্রীকপুরাণের কাহিনীগুলির মধ্যে অজস্র অলৌকিক ও অতিপ্রাকৃত উপাদান ছড়িয়ে আছে যা আজকের পাঠকদের বিস্ময়ে অভিভূত করে দিতে পারে। বিভিন্ন দেবমন্দিরের পূজারিণীর গণনাকারী লোকদের যে সব আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে দৈববাণী বলত তা সত্যিই ভয়ের শিহরণ জাগায় আমাদের মধ্যে এবং তা বিস্ময়কর। মানুষের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অন্ধ জ্যোতিষীদের অভ্রান্ত ঘোষণার অন্তরালে কোন গুহ বিদ্যা কাজ করত তা আজও গবেষণার বস্তু। মেলামপাস পাখিদের ভাষা বুঝতে পারত। লাইসেনেউস অন্ধকারে দেখতে পেত এবং মাটির তলায় কোথায় কোন গুপ্ত ধন আছে তা বুঝতে পারত। এই সব ঘটনাবলীকে আজগুবি, অবান্তর বা অলৌকিক বলে উড়িয়ে না দিয়ে একথা মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করতে হবে যে, যে গুহ বিদ্যার বলে সুদূর পৌরাণিক যুগের মানুষ এই সব আপাত-অসাধ্য কার্য সাধন করত সেই সব বিদ্যা পরবর্তী কালের মানুষ আয়ত্ত করতে না পারায় তার ধারা বা কালানুক্রমিক যোগসূত্রটি ছিন্ন হয়ে যায় শোচনীয়ভাবে।
এ গ্রন্থে সন্নিবেশিত কতকগুলি কাহিনীর মধ্যে রাক্ষস, ড্রাগন বা অতিপ্রাকৃত জন্তুর কথা আছে। মানুষকে যখনি কোন দুঃসাধ্য কর্ম সম্পন্ন করে কোন দুর্লভ বস্তুকে লাভ করতে হয়েছে তখনি তার সামনে এই সব অতিপ্রাকৃত জন্তুগুলি তার পথের সামনে আবির্ভূত হয়ে তার চূড়ান্ত সাফল্য বা জয়কে সুদূরপরাহত করে তুলেছে। আসলে রাক্ষসরূপী ঐ সব জন্তুগুলি মানবজীবনের সেই সব দুর্লঙ্ঘ বাধা বিপত্তির প্রতীক যা দুস্তর সাধনা বা দৈব অনুগ্রহের মাধ্যমে অতিক্রম করতে না পারলে আকাঙ্খিত বস্তু যা কোন দুর্লভ জয়কে লাভ করা যায় না।- সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ
গ্রীকপুরাণ কথা-সুধাংশুরঞ্জন

পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে বাংলা অনুবাদিত পুরাণের গল্প- 'গ্রীকপুরাণ কথা' এই বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
বইটিতে প্রচুর পরিমানে পুরাণের গল্প সংকলিত হয়েছে।

No comments:

Post a Comment