ডি এইচ লরেন্সে শ্রেষ্ঠ গল্প (কিন্ডল)-বাংলা অনুবাদিত বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শ্রেষ্ঠ গল্পলখক- ডি এইচ লরেন্সে
অনুবাদক- বিশিষ্ট লেখিকাগণ
সম্পাদনা- শহিদুল আলম
বইয়ের ধরন- বাংলা অনুবাদ গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ (কিন্ডল)
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৯৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৯ এমবি
সৌজন্য- রাহুল বিদ
প্রিন্ট ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
বইয়ের মুখবন্ধ:
ডেভিড হার্বার্ট লরেন্স ঔপন্যাসিক, কবি, গল্পকার ও প্রবন্ধকার হলেও তার মৌলিক ক্ষেত্র উপন্যাস। দু-একটি ছাড়া দোলনা-ঘোড়ার সাওয়ার, সূর্য, চন্দ্রমল্লিকার সুবাস ইত্যাদি লরেন্সের সমস্ত সেরা গল্পগুলোই দ্য ফক্স, দ্য ম্যান হু ডায়েড, জিপসি ও কুমারী, দ্য ক্যাপটেনস ডল ইত্যাদি উপন্যাসের ব্যাপ্তিতে আক্রান্ত। প্রকৃতি ও সভ্যতা, মানুষের প্রকৃতিজ প্রাণীস্বভাব ও তার অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে আরোপিত সংস্কৃতি-এ দুয়ের দ্বন্দ্ব লরেন্সের কথাসাহিত্যের প্রধান বিষয়। নারী ও পুরুষের মনস্তাত্ত্বিক জীবনাকাঙ্ক্ষাকে তিনি প্রায় সব লেখাতেই গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন। বুদ্ধিতে তার আস্থা ছিল না, যে জিনিসে ছিল তাকে তিনি বলতেন “ফিজিক্যাল ভিশন" । বলতেন Be a good animal, turn to your animal instincts. ফলে শুধুই বুদ্ধি বা যুক্তিনির্ভর নয়, দৈহিক চেতনানির্ভর, প্রাণময়, জীবনীশক্তির স্বাভাবিক উন্মেষলব্ধ যে প্রকাশ তাকেই তিনি তাঁর শিল্পের সত্য করে তুলেছিলেন। নিরাভরণ করেছিলেন শিল্পনির্ভর যন্ত্রসভ্যতার আত্মিক সংকটকে।
১৮৮৫ সালে ইংল্যান্ডের নটিংহামশায়ারে লরেন্সের জন্ম। পিতা আর্থার লরেন্স কয়লাখনির শ্রমিক। মা লিডিয়া বিয়ের আগে স্কুলশিক্ষিকা ছিলেন। ক্রয়ডনের ডেভিডসন রোড স্কুলে শিক্ষকতা করার সময় লন্ডনের সাহিত্যিক সমাজের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। মায়ের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পরই ১৯১১ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য হোয়াইট পিকক প্রকাশিত হয়। প্রচলিত সামাজিক প্রথা, বিশ্বাস ও নীতিবাদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবনই বিদ্রোহ করে এসেছেন। উইমেন ইন লাভ, লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার প্রভৃতি উপন্যাসে তাঁর এই বিদ্রোহী রূপ দেখা যায়। এই সময়ে জেসি চেম্বার্সের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে লুই বারোজের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলেন লরেন্স, অথচ জেসির সঙ্গেও তিনি দেখা-সাক্ষাৎ করতেন।
লন্ডনে হেলেন, বার্বোর সঙ্গেও তিনি এক নিবিড় অন্তরঙ্গতা গড়ে তোলেন। কিন্তু কোনো সম্পর্কেই তিনি স্থিতি আনতে পারলেন না। ১৯১২ সালে ফ্রিডা ফন রিখটো ফেন নামে এক বিবাহিত জার্মান রমণীকে নিয়ে লরেন্স স্বদেশ ত্যাগ করলেন। ফ্রিডা ছিলেন লরেন্সের প্রাক্তন শিক্ষক, নটিংহাম ইউনিভার্সিটি কলেজের জনৈক অধ্যাপকের স্ত্রী। বিয়ের পর ১৯১৪ সালে দু'জনে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। ১৯১৫ এবং ১৯১৬ সালে তিনি শেষ করেন তার দু'খানা বিখ্যাত উপন্যাস দ্য রেইনবো এবং উইমেন ইন লাভ। ভ্রমণ ছিল লরেন্সের অন্যতম একটা পেশা। স্ত্রী ফ্রিডার সঙ্গে ইটালি, জার্মানি, সিংহল, অস্ট্রেলিয়া, তাহিতি, মেক্সিকো প্রভৃতি স্থানে ভ্রমণ করেন এবং নিউ মেক্সিকোয় আদর্শ মানব সমাজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। স্বাস্থ্যের কারণে ও বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধে ১৯২৫ সালে তিনি আবার স্বদেশে ফিরে আসেন। ১৯২৮ সালে তার বিতর্কিত উপন্যাস লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার অশ্লীলতার দায়ে নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়। বিতর্কিত এই লেখকের দেহাবসান ঘটে মাত্র চুয়াল্লিশ বছর বয়সে, ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে । দীর্ঘদিন ধরে তিনি অবশ্য ক্ষয়রোগে ভুগছিলেন।
কিছু সমালোচকের ধারণা, আধুনিক ইংরেজি ঔপন্যাসিকদের মধ্যে লরেন্স শ্রেষ্ঠ। বিবিধ বিষয়ে তিনি লেখালেখি করেছেন ।
লরেন্সের অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে বিশিষ্ট মনে করা হয় 'সনস অ্যান্ড লাভার্স', 'ক্যাঙ্গারু' ইত্যাদিকে। অন্যান্য রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'ফ্যানটাসি অফ দ্য আনকনশাস', ‘সাইকোঅ্যানালিসিস অ্যান্ড দ্য আনকনসাস', 'অ্যাপোকিলিপস', ‘মুভমেন্ট ইন ইউরোপিয়ান লিটারেচার', 'সি অ্যান্ড গার্ডিনিয়া' ইত্যাদি।
বর্তমান গ্রহে লরেন্সের স্বভাবজ ও নির্বাচিত ছয়টি গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যার মাধ্যমে তার মৌলিক প্রবণতাগুলো পাঠক অনুভব করতে পারবেন।- শহিদুল আলম
এই বইতে যে নির্বাচিত ছয়টি গল্প রয়েছে, সেগুলি হল-
চন্দ্রমল্লিকার সুবাস
সূর্য
রূপবতী
পঙ্খিরাজের বাজিমাত
গোলাপের বনে ছায়া
ঘোড়-ব্যবসায়ীর মেয়ে
গল্পগুলি বাংলায় অনুবাদ করেছেন-
চন্দ্রমল্লিকার সুবাস ॥ দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
সূর্য ॥ প্রেমেন্দ্র মিত্র
রূপবতী ॥ বাণী বসু
পঙ্খিরাজের বাজিমাত ॥ যোবায়দা মির্যা
গলাপের বনে ছায়া ॥ দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘোড়-ব্যবসায়ীর মেয়ে ॥ দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
উপরোক্ত বাংলা বইটির কিন্ডল-এ পড়ার যোগ্য পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে বাংলা অনুবাদিত গল্প সংগ্রহ 'ডি এইচ লরেন্সে শ্রেষ্ঠ গল্প' এই বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment