সত্যি ভূতের গল্প বাংলা ভৌতিক গল্পের বইয়ের পিডিএফ ফাইল
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ‘সত্যি ভূতের গল্প’
লেখক- বিভিন্ন বিশিষ্ঠ লেখকগণ
ধরন- ভৌতিক গল্প
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৯১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
সমস্ত দেশের সাহিত্যেই ভৌতিক গল্পের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বাংলা সাহিত্যেও ভৗতিক গল্পের বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য উল্লেখ করবার মতাে। ভূত আছে কি নেই এবং ভূতের বৈচিত্র্য-বৈশিষ্ট্য কি ও কেমন তাত্ত্বিকেরা তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন। তবে সাহিত্যে ভূতের বৈচিত্র্য এবং প্রাচুর্যকে আড়াল করার উপায় নেই। সাহিত্যে ভূতের ভূমিকা দুরন্ত। পৃথিবীর সব দেশের সাহিত্যেই ভূতের বিচরণ ও প্রভাব উল্লেখ্য। ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যে পর্যন্ত ভূতের মৃদু পদসঞ্চার দেখতে পাওয়া যায়। সহজাত সংস্কার থেকে মানুষের মনে ভয়ের যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, সেই ভীতিভাবনাই পরবর্তী সময়ে মানুষকে ভূত সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলেছে। মানুষের এই চিরকালীন আগ্রহই যুগে যুগে ভৌতিক গল্পের জন্ম দিয়েছে। একই কারণে বাংলা সাহিত্যেও ভূতের সংসার নেহাত ছােট নয়। প্রথাসিদ্ধ ভূত থেকে হাল আমলের চৈনিক খাদ্যরসিক ভূতের ও সন্ধান বাংলা সাহিত্যে বিরল নয়। বাংলা সাহিত্যে ভূত বেশ বীরদর্পেই ঘােরাঘুরি করেছে, এখনও করছে। তবে সময়ের পালাবদলে গল্পকারদের মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটায়, সাম্প্রতিক কালে ভূতভাবনারও পালাবদল ঘটেছে। এখনকার ভূত অনেক অনেক বেশি নাগরিক। পরিত্যক্ত পরিবেশ, হানাবাড়ি, শ্মশানবাস ইত্যাদিতে তার কেমন অরুচি ; বীভৎস ভাবে ভয় দেখাতেও কেমন যেন সঙ্কোচ, কিছুটা আড়াল করে অস্তিত্ব জাহির করতেই যেন ভালােবাসে। | যাহােক, তবু তাে ভূত। এবং ভূত বলেই তাে ভূতের গল্প!
মানুষের মনের ভূত যেহেতু মিথ্যে নয়, গল্পের ভূতও সেহেতু অনেক বেশি সত্য। অন্যমনে ভূত ভীতির কারণ হলেও পাঠকের ভীতিজনিত কৌতৃহলী মনই কিন্তু তাকে আরো বেশি করে ভূতের গল্পের দিকে ঠেলে দেয়। সাহিত্যের ভূত সেজন্য আরও সত্যি। এবং বলা যেতে পারে, সাহিত্যের এই ভূতমনস্কতাই বর্তমান সংকলনের উৎস। ‘সত্যি ভূতের গল্প’ এ সময়কার কয়েকজন বিশিষ্ট গল্পকারের বহু বিচিত্র ভূতভাবনার সংকলন। ভূত এ ক্ষেত্রেও অবশ্যই সত্যি ভূত ; সাহিত্যে যে ভূত লেখকের কল্পনায় আরও বেশি সজীব। বর্তমান সংকলনের সত্যি ভূতের কৃতিত্ব, সে সময়ের সঙ্গে নিজেকে আশ্চর্য ভাবে মানিয়ে নিলেও কোথাও আর ভূত চরিত্রের বৈশিষ্ট্যকে কিন্তু মিথ্যে হতে দেয় নি।
'সত্যি ভূতের গল্প' নেহাতই একগুচ্ছ নানা স্বাদের ভৌতিক গল্পের সংকলন। গল্পকারদের ভূতভাবনার বৈচিত্র্যের পরিপ্রেক্ষিতেই গল্পগুলি সাজানাের প্রয়াস উৎসাহী পাঠক অবশ্যই লক্ষ্য করবেন বলে বিশ্বাস। পরিশেষে, বর্তমান সংকলনের গল্পকারদের সহযােগিতাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। শ্ৰীযুক্ত সত্যজিৎ রায়ের গল্পের সম্মতি তরুণ কবি সুব্রত রুলের সৌজন্যে ও আগ্রহে প্রাপ্ত। বর্তমান সংকলন দ্রুত প্রকাশের ব্যাপারে তরুণ প্রকাশক বরুণ গঙ্গোপাধ্যায়ের আগ্রহ এবং সম্পাদনা-সহায়তায় নন্দিতা দাশগুপ্তের সহযােগিতা উল্লেখ্য। - মলয়শঙ্কর দাশগুপ্ত
যে সকল বিশিষ্ঠ লেখকদের লেখা ভূতের গল্পগুলি এই বইতে সংকলিত হয়েছে, তাঁরা হলেন- প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিৎ রায়, বিমল কর, মনোজ বসু, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, আনন্দ বাগচী, বিমল মিত্র, হিমানীশ গোস্বামী, কণা বসুমিশ্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অজেয় রায়, দিব্যেন্দু পালিত, বিজঙ্কুমার ঘোষ, সুনিল গঙ্গোপাধ্যায়, শেখর বসু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও মলয়শঙ্কর দাশগুপ্ত।
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন
বাংলা ভৌতিক গল্পের বইয়ের পিডিএফ 'সত্যি ভূতের গল্প'
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ‘সত্যি ভূতের গল্প’
লেখক- বিভিন্ন বিশিষ্ঠ লেখকগণ
ধরন- ভৌতিক গল্প
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৯১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
সমস্ত দেশের সাহিত্যেই ভৌতিক গল্পের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বাংলা সাহিত্যেও ভৗতিক গল্পের বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য উল্লেখ করবার মতাে। ভূত আছে কি নেই এবং ভূতের বৈচিত্র্য-বৈশিষ্ট্য কি ও কেমন তাত্ত্বিকেরা তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন। তবে সাহিত্যে ভূতের বৈচিত্র্য এবং প্রাচুর্যকে আড়াল করার উপায় নেই। সাহিত্যে ভূতের ভূমিকা দুরন্ত। পৃথিবীর সব দেশের সাহিত্যেই ভূতের বিচরণ ও প্রভাব উল্লেখ্য। ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যে পর্যন্ত ভূতের মৃদু পদসঞ্চার দেখতে পাওয়া যায়। সহজাত সংস্কার থেকে মানুষের মনে ভয়ের যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, সেই ভীতিভাবনাই পরবর্তী সময়ে মানুষকে ভূত সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলেছে। মানুষের এই চিরকালীন আগ্রহই যুগে যুগে ভৌতিক গল্পের জন্ম দিয়েছে। একই কারণে বাংলা সাহিত্যেও ভূতের সংসার নেহাত ছােট নয়। প্রথাসিদ্ধ ভূত থেকে হাল আমলের চৈনিক খাদ্যরসিক ভূতের ও সন্ধান বাংলা সাহিত্যে বিরল নয়। বাংলা সাহিত্যে ভূত বেশ বীরদর্পেই ঘােরাঘুরি করেছে, এখনও করছে। তবে সময়ের পালাবদলে গল্পকারদের মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটায়, সাম্প্রতিক কালে ভূতভাবনারও পালাবদল ঘটেছে। এখনকার ভূত অনেক অনেক বেশি নাগরিক। পরিত্যক্ত পরিবেশ, হানাবাড়ি, শ্মশানবাস ইত্যাদিতে তার কেমন অরুচি ; বীভৎস ভাবে ভয় দেখাতেও কেমন যেন সঙ্কোচ, কিছুটা আড়াল করে অস্তিত্ব জাহির করতেই যেন ভালােবাসে। | যাহােক, তবু তাে ভূত। এবং ভূত বলেই তাে ভূতের গল্প!
মানুষের মনের ভূত যেহেতু মিথ্যে নয়, গল্পের ভূতও সেহেতু অনেক বেশি সত্য। অন্যমনে ভূত ভীতির কারণ হলেও পাঠকের ভীতিজনিত কৌতৃহলী মনই কিন্তু তাকে আরো বেশি করে ভূতের গল্পের দিকে ঠেলে দেয়। সাহিত্যের ভূত সেজন্য আরও সত্যি। এবং বলা যেতে পারে, সাহিত্যের এই ভূতমনস্কতাই বর্তমান সংকলনের উৎস। ‘সত্যি ভূতের গল্প’ এ সময়কার কয়েকজন বিশিষ্ট গল্পকারের বহু বিচিত্র ভূতভাবনার সংকলন। ভূত এ ক্ষেত্রেও অবশ্যই সত্যি ভূত ; সাহিত্যে যে ভূত লেখকের কল্পনায় আরও বেশি সজীব। বর্তমান সংকলনের সত্যি ভূতের কৃতিত্ব, সে সময়ের সঙ্গে নিজেকে আশ্চর্য ভাবে মানিয়ে নিলেও কোথাও আর ভূত চরিত্রের বৈশিষ্ট্যকে কিন্তু মিথ্যে হতে দেয় নি।
'সত্যি ভূতের গল্প' নেহাতই একগুচ্ছ নানা স্বাদের ভৌতিক গল্পের সংকলন। গল্পকারদের ভূতভাবনার বৈচিত্র্যের পরিপ্রেক্ষিতেই গল্পগুলি সাজানাের প্রয়াস উৎসাহী পাঠক অবশ্যই লক্ষ্য করবেন বলে বিশ্বাস। পরিশেষে, বর্তমান সংকলনের গল্পকারদের সহযােগিতাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। শ্ৰীযুক্ত সত্যজিৎ রায়ের গল্পের সম্মতি তরুণ কবি সুব্রত রুলের সৌজন্যে ও আগ্রহে প্রাপ্ত। বর্তমান সংকলন দ্রুত প্রকাশের ব্যাপারে তরুণ প্রকাশক বরুণ গঙ্গোপাধ্যায়ের আগ্রহ এবং সম্পাদনা-সহায়তায় নন্দিতা দাশগুপ্তের সহযােগিতা উল্লেখ্য। - মলয়শঙ্কর দাশগুপ্ত
যে সকল বিশিষ্ঠ লেখকদের লেখা ভূতের গল্পগুলি এই বইতে সংকলিত হয়েছে, তাঁরা হলেন- প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিৎ রায়, বিমল কর, মনোজ বসু, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, আনন্দ বাগচী, বিমল মিত্র, হিমানীশ গোস্বামী, কণা বসুমিশ্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অজেয় রায়, দিব্যেন্দু পালিত, বিজঙ্কুমার ঘোষ, সুনিল গঙ্গোপাধ্যায়, শেখর বসু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও মলয়শঙ্কর দাশগুপ্ত।
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন
বাংলা ভৌতিক গল্পের বইয়ের পিডিএফ 'সত্যি ভূতের গল্প'
No comments:
Post a Comment