বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস বাংলা অনুবাদ বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস'
লেখক- রিচার্ড হুগস, গী দ্য মপাসাঁ, জর্জ মুর, সমরসেট মম, স্যার ওয়াল্টার স্কট
ভাষান্তর- শেখর সেনগুপ্ত, উৎপল ভট্টাচার্য, সন্তোষ চট্টপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- প্রেমের গল্প
মোট পৃষ্টা আছে- ৩৯৯
পিডিএফ সাইজ- ১৩এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
"এটা সবিশেষ লক্ষণীয়", মিঃ জি, কে, চেষ্টারটন লিখেছেন, “মানবজাতির ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেহাৎ বিরল, যেখানে আমরা দুই মহান নায়কনায়িকাকে প্রচণ্ড প্রেমের পর সুখদীপ্ত বিবাহিত জীবনে আবদ্ধ হতে দেখি।"
উক্তিটি তথ্যভিত্তিক। ইতিহাস তথা উপন্যাস এবং কোন মর্মস্পর্শী গাথা কাহিনীতে দুর্দান্ত প্রেমের পরিণতি স্নিগ্ধ পারিবারিক জীবনে শেষ হয়ে যায় না। প্রেম, যদিও কখনো, কখনো তৃণের মত নরম, তীক্ষ্নমুখ কাঁটার মত বেদনাদায়ক এবং ব্যথার নির্যাসেই প্রেমের বিশালতা অনুভূত। ডিডো এবং এনিয়েস, এ্যান্টনী ও কিলোপেট্রা, পেলোও ফ্রান্সিসকার, রোমিও এবং জুলিয়েট, দান্তে এবং বিয়াত্রিস-কোথায় সেই মধুরেন সমাপয়েৎ ? মিলন সম্ভবও ছিল না; নিছক সুখের সমুদ্রে তাদের নীল করে দেওয়াটা হতো বন্ধ্যা মেধার পরিচায়ক।
এমনকি দেব-দেবীদের বেলাতেও, খ্ৰীক ও রোমক পৌরাণিক কাহিনীতে যাদের বিচরণ, একেবারে আহ্লাদময়। পারিবারিক জীবনের ছিদ্র খুজে পাই না। বরং মৃত ফুল বুকে নিয়ে তাদের প্রেম, ক্রোধ ও হাহাশ্বাস। একমাত্র রূপকথাগুলিরই অন্তিমে প্রায়শ আমরা উচ্চারিত হতে দেখি সেই অনায়াসলভ্য আপ্ত সমাপ্তি : অতঃপর তাহারা সুখে-শান্তিতে ঘর-সংসার করিতে লাগিল।
স্বয়ং জিউস হেরকে পরিপূর্ণভাবে লাভ করিবার পরও এই ঘনিষ্ঠ নারীকে যেন দ্রুত নিজস্ব শুদ্ধতা হারাতে দেখেছেন এবং তার ক্রোধও ক্রমশঃ আগুনেয় মতন জ্বলে উঠেছে। ক্ষিপ্ত জিউস পাশবিক উল্লাসে হেরাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ অবস্থায় স্বর্গ থেকে নিক্ষেপ করেছেন নরকে। অথচ ঐ হেয়ার প্রতি তাঁর প্রেমে কি কম গভীরতা ছিল। তাঁর মনের কোণে বেজে ওঠা ধ্বনির নির্জন অর্থ তিলে তিলে জন্ম দিয়েছে সন্দেহ ও ক্রোধের।
এডোনিসের জন্য আফ্রোদিতির প্রেম দুঃখপূর্ণ, ডেফিনের মত এপেলোর অনুরাগ কেবল সংঘাতপূর্ণ নয়, পরিণতিও জবুথবু, মর্মান্তিক।
যুবরাজগণ এবং প্রতিভাবানদের জীবনেও প্রেম দেব-দেবীদের মতনই এমন করুণ, সংঘাতময় যে ফুলে ফলে সমৃদ্ধ পৃথিবীতে এক সময় কী দারুণ পচনশীল হয়ে ওঠে!
অথবা, অপেক্ষাকৃত সত্য ভাষণে কবুল করতে হয়, পৃথিবীর মানুষ কোন সরল বা, হাবাগোবা বা, কোন মাতব্বরের অকুটিল প্রেম-পরিণতিকে গ্রহণ করতে নারাজ ; নিছক বাছুরে প্রেম তথা মিলনে সার্থকতার চেয়ে বিষাদপূর্ণ ব্যর্থ প্রেমের কাহিনীই তার মনকে অনেক বেশি নাড়া দিয়ে যায়।
এ বড় আপাতবিরোধী সত্য যে, একজন নবীন সাধারণ প্রেমিক সব সময়ই প্রার্থনা করবে উৎপাদনশীল এই পৃথিবীতে তার প্রেমে যেন কোন বিপর্যয়ের ছোয়া না লাগে অর্থাৎ, প্রেম-পরিক্রমান্তে সে যেন নির্বিঘ্নে তার প্রেমিকাকে বধুরূপে লাভ করে তথা তাদের পারিবারিক জীবনেও যেন কোন দৃশ্য বা অদৃশ্য তঞ্চকের আবির্ভাব না ঘটে। কিন্তু সাহিত্যের পৃষ্ঠায় ঐ প্রেমিকই খুজবে প্রেমের ভিন্নরূপ এবং সে দেখবে ভাগ্যের ছলনা, ভুল বোঝাবুঝি, হতাশা, সন্দেহ, ঈর্ষা, বিচ্ছিন্নতা এবং মৃত্যু। তাই বাস্তব জীবনে মানুষ প্রেমের যে পরিণতি ও সার্থকতা কামনা করে সেখানে কোন নাটকীয়তা থাকে না এবং থাকে না বলেই তা সাহিত্যের উপাদান হিসেবেও মনোগ্রাহী হয় কদাচিৎ।
একজন সম্পাদকের পক্ষে বিশ্বের সর্বদেশের তাবং শ্রেষ্ঠ প্রেমের গল্প/উপন্যাসগুলিকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলা বেশ কষ্টকর, নিখুঁত তো নয়ই। কারণ, কোন গল্প বা উপন্যাসই তো নিছক প্রেমের গল্প বা উপন্যাস হতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ লর্ড ওয়ার্ড বুল ওয়ার লীটনের “Last Days of Pompeii" এর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে, যেখানে প্রেমের ভূমিকা অসাধারণ হলেও ঐতিহাসিক এবং সামাজিক স্পর্শকাতরতাও প্রবল। আবার প্রেমকে সরিয়ে রেখে সাত্যি সৃষ্টি করা হয়েছে, এমন দৃষ্টান্তও অতি বিরল।
গত, দুই শতাব্দী ধরে বিশ্বসাহিত্যে বহু উল্লেখযোগ্য প্রেম-নির্ভর সাহিত্য রচিত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই উপন্যাস। সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নায়কনায়িকার মানসিক জটিলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবাহিত জীবনেও ধ্বস নামছে অনেক ব্যাপক হারে। এই পার্থক্যই আমরা দেখতে পাই মাপাসাঁর "জোয়েত”-এর সঙ্গে লরেন্সের “দি ফক্স”-এ। - শেখর সেনগুপ্ত
এই বইয়ের আকর্ষণীয় অনুবাদ গল্প গুলি হল-
মিটার লোচিন ভেরোভিক/রিচার্ড হুগস, অনুবাদক- শেখর সেনগুপ্ত
জোয়েত/গী দ্য মপাসাঁ, অনুবাদক- শেখর সেনগুপ্ত
ওয়াইল্ড গুজ/জর্জ মুর, অনুবাদক- উৎপল ভট্টাচার্য
রেড/সমরসেট মম , অনুবাদক- শেখর সেনগুপ্ত
মেরী, কুইন অব স্কটস্/স্যার ওয়াল্টার স্কট, অনুবাদক- সন্তোষ চট্টপাধ্যায়
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে উপরোক্ত অনুবাদ বইটি- 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস' -এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস'
লেখক- রিচার্ড হুগস, গী দ্য মপাসাঁ, জর্জ মুর, সমরসেট মম, স্যার ওয়াল্টার স্কট
ভাষান্তর- শেখর সেনগুপ্ত, উৎপল ভট্টাচার্য, সন্তোষ চট্টপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- প্রেমের গল্প
মোট পৃষ্টা আছে- ৩৯৯
পিডিএফ সাইজ- ১৩এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
"এটা সবিশেষ লক্ষণীয়", মিঃ জি, কে, চেষ্টারটন লিখেছেন, “মানবজাতির ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেহাৎ বিরল, যেখানে আমরা দুই মহান নায়কনায়িকাকে প্রচণ্ড প্রেমের পর সুখদীপ্ত বিবাহিত জীবনে আবদ্ধ হতে দেখি।"
উক্তিটি তথ্যভিত্তিক। ইতিহাস তথা উপন্যাস এবং কোন মর্মস্পর্শী গাথা কাহিনীতে দুর্দান্ত প্রেমের পরিণতি স্নিগ্ধ পারিবারিক জীবনে শেষ হয়ে যায় না। প্রেম, যদিও কখনো, কখনো তৃণের মত নরম, তীক্ষ্নমুখ কাঁটার মত বেদনাদায়ক এবং ব্যথার নির্যাসেই প্রেমের বিশালতা অনুভূত। ডিডো এবং এনিয়েস, এ্যান্টনী ও কিলোপেট্রা, পেলোও ফ্রান্সিসকার, রোমিও এবং জুলিয়েট, দান্তে এবং বিয়াত্রিস-কোথায় সেই মধুরেন সমাপয়েৎ ? মিলন সম্ভবও ছিল না; নিছক সুখের সমুদ্রে তাদের নীল করে দেওয়াটা হতো বন্ধ্যা মেধার পরিচায়ক।
এমনকি দেব-দেবীদের বেলাতেও, খ্ৰীক ও রোমক পৌরাণিক কাহিনীতে যাদের বিচরণ, একেবারে আহ্লাদময়। পারিবারিক জীবনের ছিদ্র খুজে পাই না। বরং মৃত ফুল বুকে নিয়ে তাদের প্রেম, ক্রোধ ও হাহাশ্বাস। একমাত্র রূপকথাগুলিরই অন্তিমে প্রায়শ আমরা উচ্চারিত হতে দেখি সেই অনায়াসলভ্য আপ্ত সমাপ্তি : অতঃপর তাহারা সুখে-শান্তিতে ঘর-সংসার করিতে লাগিল।
স্বয়ং জিউস হেরকে পরিপূর্ণভাবে লাভ করিবার পরও এই ঘনিষ্ঠ নারীকে যেন দ্রুত নিজস্ব শুদ্ধতা হারাতে দেখেছেন এবং তার ক্রোধও ক্রমশঃ আগুনেয় মতন জ্বলে উঠেছে। ক্ষিপ্ত জিউস পাশবিক উল্লাসে হেরাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ অবস্থায় স্বর্গ থেকে নিক্ষেপ করেছেন নরকে। অথচ ঐ হেয়ার প্রতি তাঁর প্রেমে কি কম গভীরতা ছিল। তাঁর মনের কোণে বেজে ওঠা ধ্বনির নির্জন অর্থ তিলে তিলে জন্ম দিয়েছে সন্দেহ ও ক্রোধের।
এডোনিসের জন্য আফ্রোদিতির প্রেম দুঃখপূর্ণ, ডেফিনের মত এপেলোর অনুরাগ কেবল সংঘাতপূর্ণ নয়, পরিণতিও জবুথবু, মর্মান্তিক।
যুবরাজগণ এবং প্রতিভাবানদের জীবনেও প্রেম দেব-দেবীদের মতনই এমন করুণ, সংঘাতময় যে ফুলে ফলে সমৃদ্ধ পৃথিবীতে এক সময় কী দারুণ পচনশীল হয়ে ওঠে!
অথবা, অপেক্ষাকৃত সত্য ভাষণে কবুল করতে হয়, পৃথিবীর মানুষ কোন সরল বা, হাবাগোবা বা, কোন মাতব্বরের অকুটিল প্রেম-পরিণতিকে গ্রহণ করতে নারাজ ; নিছক বাছুরে প্রেম তথা মিলনে সার্থকতার চেয়ে বিষাদপূর্ণ ব্যর্থ প্রেমের কাহিনীই তার মনকে অনেক বেশি নাড়া দিয়ে যায়।
এ বড় আপাতবিরোধী সত্য যে, একজন নবীন সাধারণ প্রেমিক সব সময়ই প্রার্থনা করবে উৎপাদনশীল এই পৃথিবীতে তার প্রেমে যেন কোন বিপর্যয়ের ছোয়া না লাগে অর্থাৎ, প্রেম-পরিক্রমান্তে সে যেন নির্বিঘ্নে তার প্রেমিকাকে বধুরূপে লাভ করে তথা তাদের পারিবারিক জীবনেও যেন কোন দৃশ্য বা অদৃশ্য তঞ্চকের আবির্ভাব না ঘটে। কিন্তু সাহিত্যের পৃষ্ঠায় ঐ প্রেমিকই খুজবে প্রেমের ভিন্নরূপ এবং সে দেখবে ভাগ্যের ছলনা, ভুল বোঝাবুঝি, হতাশা, সন্দেহ, ঈর্ষা, বিচ্ছিন্নতা এবং মৃত্যু। তাই বাস্তব জীবনে মানুষ প্রেমের যে পরিণতি ও সার্থকতা কামনা করে সেখানে কোন নাটকীয়তা থাকে না এবং থাকে না বলেই তা সাহিত্যের উপাদান হিসেবেও মনোগ্রাহী হয় কদাচিৎ।
একজন সম্পাদকের পক্ষে বিশ্বের সর্বদেশের তাবং শ্রেষ্ঠ প্রেমের গল্প/উপন্যাসগুলিকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলা বেশ কষ্টকর, নিখুঁত তো নয়ই। কারণ, কোন গল্প বা উপন্যাসই তো নিছক প্রেমের গল্প বা উপন্যাস হতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ লর্ড ওয়ার্ড বুল ওয়ার লীটনের “Last Days of Pompeii" এর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে, যেখানে প্রেমের ভূমিকা অসাধারণ হলেও ঐতিহাসিক এবং সামাজিক স্পর্শকাতরতাও প্রবল। আবার প্রেমকে সরিয়ে রেখে সাত্যি সৃষ্টি করা হয়েছে, এমন দৃষ্টান্তও অতি বিরল।
গত, দুই শতাব্দী ধরে বিশ্বসাহিত্যে বহু উল্লেখযোগ্য প্রেম-নির্ভর সাহিত্য রচিত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই উপন্যাস। সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নায়কনায়িকার মানসিক জটিলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবাহিত জীবনেও ধ্বস নামছে অনেক ব্যাপক হারে। এই পার্থক্যই আমরা দেখতে পাই মাপাসাঁর "জোয়েত”-এর সঙ্গে লরেন্সের “দি ফক্স”-এ। - শেখর সেনগুপ্ত
এই বইয়ের আকর্ষণীয় অনুবাদ গল্প গুলি হল-
মিটার লোচিন ভেরোভিক/রিচার্ড হুগস, অনুবাদক- শেখর সেনগুপ্ত
জোয়েত/গী দ্য মপাসাঁ, অনুবাদক- শেখর সেনগুপ্ত
ওয়াইল্ড গুজ/জর্জ মুর, অনুবাদক- উৎপল ভট্টাচার্য
রেড/সমরসেট মম , অনুবাদক- শেখর সেনগুপ্ত
মেরী, কুইন অব স্কটস্/স্যার ওয়াল্টার স্কট, অনুবাদক- সন্তোষ চট্টপাধ্যায়
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে উপরোক্ত অনুবাদ বইটি- 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস' -এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment