শ্রীঅরবিন্দের মূল বাঙ্গলা রচনাবলী বাংলা ডিজিটাল বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শ্রীঅরবিন্দের মূল বাঙ্গলা রচনাবলী
লেখক- শ্রীঅরবিন্দ ঘোষ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৩৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
ভূমিকা-
শ্ৰীঅরবিন্দ বাংলা লেখা আরম্ভ করেছিলেন বিলেত থেকেই-কতকটা তাঁর পিতৃ দেবের নির্দেশ অমান্য করেই; কারণ প্রথমতঃ গোড়ার দিকে না হ’লেও কলেজ জীবনে বাঙ্গালীদের সঙ্গে যথেষ্ট মিলতে ও মিশতে পেরেছিলেন, তারপর সিভিল সাভিসে তিনি বাংলা গ্রহণ করেছিলেন ভারতীয় ভাষা হিসাবে ( সিভিল সাভিসে ভারতীয় ভাষা একটি শিখতে হয় )। এ প্রসঙ্গে তবে একটি মজার গল্প তিনি বলেছিলেন। তাঁদের বাংলা শিক্ষক ছিল একজন ইংরেজ-পাকা ইংরেজ। মান্টার মশাই-এর বিদ্যা পরীক্ষা করবার জন্য তাঁর এক দুষ্টু ছাত্র একটি বাংলা লেখা (বঙ্কিম থেকে নকল করে) তার হাতে দিয়ে বলে, “স্যর, এই বাংলা লেখাটি বড় কঠিন, বঝতে পারছি না, একটা বুঝিয়ে দেবেন ?” মাম্টার মশাই লেখাটি বেশ কিছুক্ষণ ধরে দেখলেন, উলটেপাল্টে পরখ করলেন, তারপর আই. সি. এস-ই রায় দিলেন, "This is not Bengali."
শ্ৰীঅরবিন্দ বাংলা রীতিমত শিখতে আরম্ভ করেন বরোদায় এসেই— পড়তে, লিখতে, বলতে। তার প্রথম ফলই হ’ল বঙ্কিমচন্দ্রের উপর প্রবন্ধাবলী, ক্ৰমে চন্ডীদাস, বিদ্যাপতি কবিওয়ালাদের অনুবাদ। বসুমেতী সংস্করণের সকল গ্রন্থাবলী তাঁর পুস্তকাগারে ছিল, অনেক অনেক মন্তব্য পড়বার সময় তিনি সেই সব পুস্তকে লিখে রেখেছেন, যথা, মধুসূদদনের কয়েকটা কবিতার উপর। বাংলা লেখাতেও (কাব্য রচনায় ) হাত দিয়েছিলেন। এ সমন্ধে তাঁর ভাই (অর্থাৎ দাদা ) মনমোহন ঘোষ এক কৌতূহলের সংবাদ করেছেন। মনমোহন রবীন্দ্রনাথকে লিখছেন, অরবিন্দ তার কিছু কবিতা (ইংরেজী ) রবীন্দ্রনাথকে পাঠাবেন হয় ত’, তবে সে এখন ব্যস্ত বাংলা কবিতা লেখায়; ইংরেজী কবিতায় সে সুন্দর সদক্ষ, এখন সে বৃথা সময় নামটি করছে বাংলা কবিতা লেখার চেষ্টায়-লিখছে উষা-হরণ কাব্য (মধুসূধনই ঢং-এ )। মনমোহন কিন্তু নিজেও ঠিক ঐ বিষয়ে এক কাব্য লিখেছেন। যা হোক আমাদের এই সংগ্রহের মধ্যে বাংলা ভাষায় তাঁর প্রথম লেখার নিদর্শন হ’ল মৃণালিণীর নিকট পত্রাবলী। আর সর্বশেষ হ’ল পন্ডিচেরীতে লিখিত পত্রাবলী কয়েকজন সাধিকার কাছে। পশ্চিডচেরীর পর্বে বেশির ভাগ বাংলা লেখা হয়েছিল ধৰ্ম্ম পত্রিকার জন্য। ধৰ্ম্ম পত্রিকার সব লেখাই অরবিন্দের হাত থেকে শেষের কয়েকটি সংখ্যা ছাড়া। কারা-কাহিনী এবং আর এক আধটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল অন্যত্র। পন্ডিচেরীতে তিনি লিখেছিলেন ঋগবেদ সম্বন্ধে, কিছু অন্যবাদ ও টীকা। শ্ৰীঅরবিন্দের বাংলা রচনার রীতি একদিকে যেমন সংস্কৃত ঘোষা (যথা, দুর্গাস্তোত্র এবং জগন্নাথের রথ ও আমাদের ধম্ম), অন্যদিকে সহজ সরল কথ্যরীতিও তাঁর সমানে আয়ত্তাধীন ছিল। বিষয় এবং উদ্দেশ্য অন্যাসারে এই বিভিন্নতা। শ্ৰীঅরবিন্দের বাংলা লেখাগুলি সবই প্রবন্ধকারে, কেবল গীতা এবং কারাকাহিনী ছাড়া। এ দুটিও অসম্পুর্ণ গ্রন্থ-পুস্তকাকারে সংগৃহীত হ’লেও। বত্তমান গ্রন্থাবলীতে তাই পুস্তকগুলি ভেঙ্গে দিয়ে বিষয় অনসারে বিভিন্ন প্রবন্ধ বিভিন্ন পয্যায়ে সাজান হয়েছে।- শ্রীনলিনী কান্ত গুপ্ত
বাংলা ডিজিটাল বই- 'শ্রীঅরবিন্দের মূল বাঙ্গলা রচনাবলী', পিডিএফ সংগ্রহ করুন
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শ্রীঅরবিন্দের মূল বাঙ্গলা রচনাবলী
লেখক- শ্রীঅরবিন্দ ঘোষ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৩৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
ভূমিকা-
শ্ৰীঅরবিন্দ বাংলা লেখা আরম্ভ করেছিলেন বিলেত থেকেই-কতকটা তাঁর পিতৃ দেবের নির্দেশ অমান্য করেই; কারণ প্রথমতঃ গোড়ার দিকে না হ’লেও কলেজ জীবনে বাঙ্গালীদের সঙ্গে যথেষ্ট মিলতে ও মিশতে পেরেছিলেন, তারপর সিভিল সাভিসে তিনি বাংলা গ্রহণ করেছিলেন ভারতীয় ভাষা হিসাবে ( সিভিল সাভিসে ভারতীয় ভাষা একটি শিখতে হয় )। এ প্রসঙ্গে তবে একটি মজার গল্প তিনি বলেছিলেন। তাঁদের বাংলা শিক্ষক ছিল একজন ইংরেজ-পাকা ইংরেজ। মান্টার মশাই-এর বিদ্যা পরীক্ষা করবার জন্য তাঁর এক দুষ্টু ছাত্র একটি বাংলা লেখা (বঙ্কিম থেকে নকল করে) তার হাতে দিয়ে বলে, “স্যর, এই বাংলা লেখাটি বড় কঠিন, বঝতে পারছি না, একটা বুঝিয়ে দেবেন ?” মাম্টার মশাই লেখাটি বেশ কিছুক্ষণ ধরে দেখলেন, উলটেপাল্টে পরখ করলেন, তারপর আই. সি. এস-ই রায় দিলেন, "This is not Bengali."
শ্ৰীঅরবিন্দ বাংলা রীতিমত শিখতে আরম্ভ করেন বরোদায় এসেই— পড়তে, লিখতে, বলতে। তার প্রথম ফলই হ’ল বঙ্কিমচন্দ্রের উপর প্রবন্ধাবলী, ক্ৰমে চন্ডীদাস, বিদ্যাপতি কবিওয়ালাদের অনুবাদ। বসুমেতী সংস্করণের সকল গ্রন্থাবলী তাঁর পুস্তকাগারে ছিল, অনেক অনেক মন্তব্য পড়বার সময় তিনি সেই সব পুস্তকে লিখে রেখেছেন, যথা, মধুসূদদনের কয়েকটা কবিতার উপর। বাংলা লেখাতেও (কাব্য রচনায় ) হাত দিয়েছিলেন। এ সমন্ধে তাঁর ভাই (অর্থাৎ দাদা ) মনমোহন ঘোষ এক কৌতূহলের সংবাদ করেছেন। মনমোহন রবীন্দ্রনাথকে লিখছেন, অরবিন্দ তার কিছু কবিতা (ইংরেজী ) রবীন্দ্রনাথকে পাঠাবেন হয় ত’, তবে সে এখন ব্যস্ত বাংলা কবিতা লেখায়; ইংরেজী কবিতায় সে সুন্দর সদক্ষ, এখন সে বৃথা সময় নামটি করছে বাংলা কবিতা লেখার চেষ্টায়-লিখছে উষা-হরণ কাব্য (মধুসূধনই ঢং-এ )। মনমোহন কিন্তু নিজেও ঠিক ঐ বিষয়ে এক কাব্য লিখেছেন। যা হোক আমাদের এই সংগ্রহের মধ্যে বাংলা ভাষায় তাঁর প্রথম লেখার নিদর্শন হ’ল মৃণালিণীর নিকট পত্রাবলী। আর সর্বশেষ হ’ল পন্ডিচেরীতে লিখিত পত্রাবলী কয়েকজন সাধিকার কাছে। পশ্চিডচেরীর পর্বে বেশির ভাগ বাংলা লেখা হয়েছিল ধৰ্ম্ম পত্রিকার জন্য। ধৰ্ম্ম পত্রিকার সব লেখাই অরবিন্দের হাত থেকে শেষের কয়েকটি সংখ্যা ছাড়া। কারা-কাহিনী এবং আর এক আধটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল অন্যত্র। পন্ডিচেরীতে তিনি লিখেছিলেন ঋগবেদ সম্বন্ধে, কিছু অন্যবাদ ও টীকা। শ্ৰীঅরবিন্দের বাংলা রচনার রীতি একদিকে যেমন সংস্কৃত ঘোষা (যথা, দুর্গাস্তোত্র এবং জগন্নাথের রথ ও আমাদের ধম্ম), অন্যদিকে সহজ সরল কথ্যরীতিও তাঁর সমানে আয়ত্তাধীন ছিল। বিষয় এবং উদ্দেশ্য অন্যাসারে এই বিভিন্নতা। শ্ৰীঅরবিন্দের বাংলা লেখাগুলি সবই প্রবন্ধকারে, কেবল গীতা এবং কারাকাহিনী ছাড়া। এ দুটিও অসম্পুর্ণ গ্রন্থ-পুস্তকাকারে সংগৃহীত হ’লেও। বত্তমান গ্রন্থাবলীতে তাই পুস্তকগুলি ভেঙ্গে দিয়ে বিষয় অনসারে বিভিন্ন প্রবন্ধ বিভিন্ন পয্যায়ে সাজান হয়েছে।- শ্রীনলিনী কান্ত গুপ্ত
বাংলা ডিজিটাল বই- 'শ্রীঅরবিন্দের মূল বাঙ্গলা রচনাবলী', পিডিএফ সংগ্রহ করুন
No comments:
Post a Comment